এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ৫৩ সহকর্মীর অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ থেকে কামরুল ইসলাম নামে এক আইনজীবীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আদালতের একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে নারী-শিশু নির্যাতন দমন-১ আদালতের বিচারকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার অভিযোগ তোলা হয়। এরই জেরে বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি। পরবর্তীতে জেলা জজ, নারী-শিশু আদালতের বিচারকের অপসারণ ও জেলা জজ আদালতের নাজিরের বিচারের দাবিতে গত ৫ জানুয়ারি থেকে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয় আইনজীবী সমিতি। এদিকে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিন আইনজীবী অসৌজন্যমূলক আচরণের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আগামী ১৭ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে সমন ও শোকজ করেছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি এই প্রতিবেদকের কাছে বলেন তিনি বিষয়টি নিয়ে খুব বিব্রত। তাই বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ দেওয়াদের মধ্যে আইনজীবী শাহ মো. কাউসার মিয়া, রফিক ও দাইয়ান জানান, আমরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে গত কিছুদিন ধরে আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে আন্দোলন করে আসছি। সর্বসম্মতিক্রমে সবাই আদালতে শুনানিতে অংশগ্রহণ বর্জনের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কিন্তু আইনজীবীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যেই অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রোববার (৮ জানুয়ারি) আদালতে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা মর্মাহত। তাই আমরা ৫৩ জন আইনজীবী সাক্ষরিত একটি আবেদন তার বহিষ্কার দাবি জানিয়েছিলাম।
মফিজুর রহমান বাবুল জানান, কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫৩ জন আইনজীবী সাক্ষরিত একটি অভিযোগ দিয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।