সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রতিবন্ধী মো. সুমনের পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ না দেওয়ায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত।
সোমবার এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের আদেশের বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রতিবন্ধী কোটায় সুমনের পদটি রিজার্ভ রাখতে বলা হয়েছে।
এই আইনজীবী আরও জানান, ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ না দেওয়ায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেন। পাশাপাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সহকারী শিক্ষকের পদ সংরক্ষণের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
সুমন জানান, ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তিনি ‘প্রতিবন্ধী কোটায়’ সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করে সফলতার সঙ্গে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু তাকে ওই পদে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
পরে সুমন তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (আরটিআই) ও উপ-পরিচালক (সংস্থাপন) মো. দেলোয়ার হোসেন তথ্য দিয়ে চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে দেখা যায়, ঢাকা জেলার ডেমরা থানার বাসিন্দা প্রতিবন্ধী মো. সুমন লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ নম্বর ও মৌখিক পরীক্ষায় ১১ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তখন ঢাকা জেলার ডেমরা উপজেলায় ১৭ জনকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হলেও ১০ শতাংশ কোটাভুক্ত সুমনকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। যা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার লঙ্ঘন।
পরে হাইকোর্টে রিট করা হলে আদালত আজ এ আদেশ দেন।