বনিবনা না হওয়ায় ঢালিউডের নন্দিত অভিনেত্রী শাবনূর স্বামী অনিক মাহমুদ অনিককে ডিভোর্স দিয়েছেন। অনেক দিন ধরেই মিডিয়া পাড়ায় কানাকানি শুনা গেলেও এবার তা সত্যি হলো। গত ২৬ জানুয়ারি শাবনূরের স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ এডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে অনিকের উত্তরা ও গাজীপুরের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
ডিভোর্সের কারণ হিসেবে শাবনূর তার স্বামীকে মাদকাসক্তসহ বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেন। এডভোকেট কাওসার আহমেদ জানান, স্বামী অনিক মাদকাসক্ত। রাত-বিরাতে মাতাল হয়ে বাসায় ফিরেন। শাবনূরকে নানারকম নির্যাতন করেন। স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্বও পালন করেন না। বিরক্ত হয়েই তার কাছ থেকে বিচ্ছেদ চেয়েছেন দেশিয় সিনেমার দর্শকপ্রিয় এ নায়িকা।
নোটিশে যা রয়েছে-
আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় স্ত্রী এবং সন্তানের প্রতি যথাযথ যত্নশীল না এবং আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ করে না। সে মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে।
একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী যে ব্যবহার করেন, অনিক সেটা করছেন না, উল্টো নানাভাবে আমাকে নির্যাতন করে। এসব কারণে আমার জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। চেষ্টা করেও এসব থেকে তাকে ফেরাতে পারিনি। বরং আমার সন্তান এবং আমার ওপর নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। যে কারণে মনে হলো, তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারবো না।
তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর আংটি বদল হয় তাদের। ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে বিয়ে করে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেন এই নন্দিত নায়িকা। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।