রাজধানীসহ সারা দেশে দুর্নীতিবিরোধী পাঁচ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। বগুড়ার শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বাবদ বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগে অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদক অভিযোগ আসে, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক এবং অন্যান্যদের দ্বারা গঠিত একটি সমিতির নিকট এলাকাবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফলে সেবা গ্রহণ করতে আসা জনসাধারণ ভোগান্তির শিকার এবং বাড়তি অর্থব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়া জেলা কার্যালয় থেকে বুধবার (১১ মার্চ) অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে টিম জনসাধারণ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। একজন দলিল লেখক নির্ধারিত ফি এক হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকা নিচ্ছে বলে প্রমাণ পায় অভিযান পরিচালনাকারী টিম। তাৎক্ষণিকভাবে দুদক টিমের উপস্থিতিতে বাড়তি ৯ হাজার টাকা ফেরত দেন।
টিম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সেবার মান সহজীকরণ এবং পরিবেশের সার্বিক উন্নয়নে সাব রেজিস্ট্রার, শেরপুর, বগুড়াকে পরামর্শ দেয়। অবিলম্বে সেবা প্রদান সহজীকরণ এবং জনদুর্ভোগ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে মর্মে নিশ্চয়তা দেন দলিল লেখক। উপস্থিত জনসাধারণ দুদকের এ অভিযানকে স্বাগত জানায়।
মাউশি খুলনা অঞ্চলের পরিচালক (সেসিপ) ও তার সিন্ডিকেট সদস্য কর্তৃক প্রশিক্ষণের টাকা আত্মসাৎ, দুর্নীতি, অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের লক্ষ্যে পরিদর্শন বাণিজ্যের অভিযোগে পরিচালক, সেসিপ প্রকল্প, খুলনা অঞ্চলের দফতরে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়ার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে কয়েকটি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এছাড়াও দুদক হটলাইনে আসা অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয়, পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় ও ফরিদপুর জেলা কার্যালয় হতে তিনিটি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়।