আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ জন দেশের বাইরে থেকে। বাকী ২০ জনই এদের মাধ্যমে কোনো না কোনোভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজন মারা গেছেন আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগেরই অবস্থা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল। একজনের কিডনি ডায়ালাইসিস করা হচ্ছিল, তাকে এখনো ডায়ালাইসিস দেয়া হচ্ছে।
যে ১৩ জন বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের মধ্যে ইতালি থেকে ছয়জন, ইতালির বাইরে ইউরোপের অন্যান্য দেশ দুজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুজন, বাহরাইন থেকে একজন, ভারত থেকে একজন এবং কুয়েত থেকে একজন।
আক্রান্ত রোগীদের একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করেন সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, ‘৩৩ জনের মধ্যে আক্রান্ত দুই তৃতীয়াংশ পুরুষ, এক তৃতীয়াংশ নারী। এদের মধ্যে ১০ বছরের নিচে রয়েছে দুজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী নয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী নয়জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী একজন এবং ষাটোর্ধ্ব ছয়জন।
আক্রান্ত ৩৩ জনের মধ্যে ১৫ জনই ঢাকা শহরের উল্লেখ করেন সেব্রিনা ফ্লোরা। অন্যান্য জেলাভিত্তিক আক্রান্তের তালিকা তুলে ধরে তিনি জানান, মাদারীপুরে ১০ জন, নারায়ণগঞ্জে ৩ জন, গাইবান্ধায় ২, কুমিল্লায় ১ জন, গাজীপুরে ১ জন এবং চুয়াডাঙ্গায় ১ জন।
বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানায় আইইডিসিআর। পরে গতকাল পর্যন্ত মোট ২৭ জনের করোনাআক্রান্তের খবর জানা যায়। এদের মধ্যে পাঁচজন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন বলেও জানান সেব্রিনা ফ্লোরা।