খাজা রতন
বগুড়া
বগুড়ায় পীরের আস্তানায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রধান আসামি করে দেড় শতাধিক ব্যক্তির নামে মামলা। এর মধ্যে গ্রেফতারকৃত ২৩ জনকে বৃহস্পতিবার ২৬ মার্চ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পীরের মুরিদের হামলায় আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের দুজনেরই হাত ভেঙে গেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২০’টি বাঁশের লাঠি, ৬’টি লোহার রড ও ৪’টি কাঠের বাটাম উদ্ধার করেছে।
বগুড়া সদর থানা নিয়ন্ত্রিত উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক এসআই আব্দুল গফুর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিল শফিকুল ইসলাম নয়নসহ গ্রেফতারকৃত ২৩ জনকে এজাহার নামীয় আসামি ছাড়াও অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার ২৫ মার্চ রাতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অমান্য করে বগুড়া শহরের গোয়ালগাড়ি শাহ সুফি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা ছেরাজুল হক চিশতী (রঃ) মাজার প্রাঙ্গণে বার্ষিক ওরশ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বুধবার দুপুরের পর থেকে সেখানে বিভিন্ন এলকার নারী ও পুরুষসহ মুরিদরা আসতে শুরু করেন। গরু জবাই করে রান্নার আয়োজন করা হয়। ওরশ মাহফিল বন্ধ রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক দফা নিষেধ করা হয়। সন্ধ্যার পর পীরের আস্তানায় নারী পুরুষ জিকির শুরু করে।
এলাকার লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাত ৯টার দিকে উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু খানসহ তিনজন পুলিশ সেখানে গিয়ে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কথা বলে ওরশ মাহফিল বন্ধ করতে বলেন।
এতে পীরের অনুসারিরা দুই পুলিশকে তাদের আস্তানায় আটকে রেখে বেদম মারপিট করে।