মাহফুজ মন্ডল, বগুড়া
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৫৯ জন কয়েদি মুক্তি পেতে পারেন। সারাদেশের কারাগারগুলো থেকে বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত করোনার সংক্রমন রোধে বগুড়া কারাগারের ১৫৯ জন কয়েদি মুক্তির অপেক্ষায়প্ত প্রায় ৩১০০ বন্দীর মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার।
সেই ধারাবাহিকতায় বগুড়া কারাগারের ৬ নারীসহ ১৫৯ জন কারাবন্দি মুক্তি পেতে পারেন। ওই বন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে একটি তালিকা তৈরি করে ইতোমধ্যে বগুড়া কারাগার থেকে রাজশাহী কারা উপ মহাপরিদর্শক ( ডিআইজি প্রিজন) কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ঐ তালিকা আজ রোববার রাজশাহী থেকে ঢাকায় কারা মহাপরিদর্শকের কার্যালয় হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে।
বগুড়া কারাগারের জেলার মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, বগুড়ায় কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে। বগুড়া কারাগারে মোট ধারণক্ষমতা ১৪০০ জন। আজ রোববার পর্যন্ত কারাগারে বন্দি রয়েছেন ২১৪৫ জন এর মধ্যে রয়েছে ৩৯১ জন কয়েদী আর হাজতি রয়েছে ১৭৫৪ জন। ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দী বগুড়া কারাগারে থাকাশ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাই করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে বগুড়ায় ১৫৯ জন বন্দীর মুক্তির বিষয়টি বিবেচনার জন্য ঢাকায় মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
জেলার আরো জানান, যারা তিন মাস থেকে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের নাম কারাপরিদর্শক এর মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বগুড়া কারা কর্তৃপক্ষ ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য কারাগারে সকল বন্দীর উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। নবাগত বন্দীদে বিশেষ কক্ষে রাখা হচ্ছে, তাদের পুরনো বন্দিরের সাথে রাখা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক করা হচ্ছে বন্দীদের। সতর্কতার কারনে রোববার পর্যন্ত কারাগারের কোন বন্দি করোনায় আক্রান্ত হয়নি। তিনি বলেন, কারাগারে প্রবেশের সময় জীবানু নাশক ব্যবহার করে গোসল করানো হয়।
এছাড়া তাদের সাবান, হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারাগারে ঢোকার সময় বন্দীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার জন্য অত্যাধুনিক ইনফ্লাইট থার্মোমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন কারারক্ষী ও কর্মচারীদের মধ্যে যাতে করোনার সংক্রামক না ঘটে সেজন্য সতর্ক। সংশ্লিষ্টরা পিপিই, হ্যান্ড গ্লোভস কারাবন্দীদের পরে সেবা দিচ্ছেন।
জেলার বলেন কারাগারে বন্দীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে আত্মীয়-স্বজনদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বন্দীদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।