করোনা ভাইরাসের কারণে পরিস্থিতি মোকাবিলায় হতদরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয় ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলায়।
সরকারি নির্দেশনা মতে ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হতদরিদ্র পরিবারের প্রত্যেককে ১৫ কেজি করে চাল দেয়া হলেও ব্যতিক্রম নগরকান্দা উপজেলাতে। এ উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার জন্য মোট চাল বরাদ্দ দেয়া হয় ২২ হাজার মেট্রিক টন।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় চাল বিতরণ করা হয়েছে প্রত্যেককে ১০ কেজি করে। উপকারভোগীদের মধ্যে চরযশোরদী ইউনিয়নে ২২১ জনের বিপরীতে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৩১৫ মেট্রিক টন। পুরাপাড়া ইউনিয়নে ১১৩ জনের বিপরীতে দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৬৯৫ মেট্রিক টন। শহীদনগর ইউনিয়নে ১১০ জনের বিপরীতে দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন। ফুলসূতি ইউনিয়নে ৭০ জনের বিপরীতে দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৫০ মেট্রিক টন।
সরকারি প্রজ্ঞাপণ অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারকে ১৫ কেজি করে চাল দেবার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু নগরকান্দা উপজেলার কোনো ইউনিয়নেই তা মানা হয়নি। জানা গেছে, যাদের উপরকারভোগী হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে তাদের বাইরে যাদের চাল দেয়া হয়েছে তারা অনেকেই এ দুর্যোগকালীন মুহূর্তে চাল পাওয়ার যোগ্য নন। শুধু চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছের লোক হিসেবে কিংবা রাজনৈতিক কারণে অনেকেই তালিকায় নাম না থাকলেও চাল পেয়েছেন বলে জানা গেছে।পুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান সাংবাদিকদেন জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যেককে ১৫ কেজি করে চাল দেয়ার কথা বলা হলেও উপজেলা অফিস থেকে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয় ১০ কেজি করে দেয়ার। যার কারণে আমরা প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল দিয়েছি। ফলে উপকারভোগীদের সংখ্যা বেড়েছে।
এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল কবির বলেন, ১৫ কেজি করে চাল দিতে হবে এমন কোনো পরিপত্র আমার কাছে নেই। উপজেলা মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া জেলা খাদ্য কর্মকর্তাও ১০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা বলেছেন।