করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের সময়ে একের পর এক তৈরি পোশাকের রফতানি বা ক্রয় আদেশ বাতিল করেছেন বিভিন্ন ক্রেতা ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান। এতে বড় সংকটের মুখে পোশাক খাত। কর্ম হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন অসংখ্য শ্রমিক। এমন অবস্থায় শ্রমঘন শিল্প খাতটি টিকিয়ে রাখা জরুরি। তাই কঠিন এ সংকটময় মুহূর্তে ক্রয় আদেশ স্থগিত না করে চুক্তির শর্ত যথাযথ পরিপালনের জন্য আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও পোশাক ব্যবসায়ী ক্রেতাদের কাছে দাবি জানিয়েছে এশিয়া অঞ্চলের ছয়টি দেশের ৯টি পোশাক উৎপাদনকারী এবং রফতানিকারক সংগঠন।
এক যৌথ বিবৃতিতে সংকটময় সময়ে তৈরি পোশাক খাত বাঁচাতে ও পুনরুদ্ধার করতে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতা এবং ব্যবসায়ীদের কাছে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেছে সংগঠনগুলো।
গত ৪ এপ্রিল সংগঠনগুলোর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপের সময়ে বিশ্বের গার্মেন্ট খাতকে সংকট থেকে বাঁচাতে ও পুনরুদ্ধার করতে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার সময় এসেছে। বিশেষত বিশ্বব্যাপী টেক্সটাইল এবং পোশাক সরবরাহকারী চেইনের ব্র্যান্ড সংস্থাগুলো ও খুচরা বিক্রেতাদের। তা না হলে লাখ লাখ শ্রমিকের মৌলিক অধিকার এবং তাদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহের ওপর এর ব্যাপক মাত্রায় প্রভাব পড়বে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, শ্রম অধিকার, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং টেকসই সরবরাহ চেইনের প্রতি বৈশ্বিক ব্যবসার প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং সম্মান দেখানোর এখনই সময়। বিষয়টি মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতা এবং ব্যবসায়ীদের প্রতি টেকসই টেক্সটাইল অব এশিয়ান রিজিয়ন (স্টার নেটওয়ার্ক) সদস্যদের ছয়টি উৎপাদনকারী এবং রফতানিকারক দেশ থেকে ৯টি শীর্ষ টেক্সটাইল এবং গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সংগঠন এ আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ, চীন, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মিয়ানমার ও কম্বোডিয়া রয়েছে।
পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারকদের দাবিগুলো হলো :
১. উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সাপ্লাই চেইনে শ্রমিক, ছোট ব্যবসায়ের ওপর সব সম্ভাব্য প্রভাব সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনা করুন।
২. ক্রয় চুক্তির শর্তগুলোকে সম্মান ও দায়বদ্ধতাগুলো পালন করুন এবং মূল্য বা অর্থ প্রদানের শর্তগুলো পুনরায় আলোচনা করুন।