গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিহত হয়েছেন।
রোববার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুয়েল আহমেদ সবুজ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পদিপাড়া এলাকার রফিক উল্লাহর ছেলে।
গাজীপুর র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কোনাবাড়ী কাশিমপুর জেলখানা রোড এলাকায় র্যাবের সঙ্গে সবুজের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ সময় সবুজের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধারের দাবি করেন তিনি। খবর ইউএনবির
এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানার পারিজাত আমতলা এলাকা থেকে অপহরণের পর শিশু আলিফকে হত্যা করা হয়। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাসার তিন তলার একটি গুদাম থেকে আলিফের মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব ও পুলিশ।
আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে আলিফকে অপহরণ করে সবুজ ও সাগর। অপহরণের পর ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিল তারা। এক পর্যায়ে শিশুটির বাবা ফরহাদ মুক্তিপণের ২০ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। পরে ওই টাকা দিতে মোবাইলে বিভিন্ন জায়গায় তাকে যেতে বলে অপহরণকারীরা। গত শনিবার সন্ধ্যায় মুক্তিপণের ২০ লাখ টাকা নিয়ে পুবাইল এলাকায় যান তিনি। সেখান থেকে সাগরকে আটক করে র্যাব। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, ফরহাদের ভাড়া দেওয়া একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় ঝুট গুদাম থেকে আলিফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আটক সাগর জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানায়, কয়েকদিন আগে আলিফের বাবা ফরহাদ ভাড়াটিয়া সবুজকে থাপ্পড় মারে। এর প্রতিশোধ নিতে সবুজ অপহরণ করে আলিফকে। পরে তাদের বাড়ির তিনতলায় একটি ঝুট গুদামে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় তাকে।
গাজীপুর র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার বলেন, সাগরের দেওয়া তথ্যমতে সবুজকে ধরতে গেলে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়।