রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহাবুবুর রহমান রাসেল (৩৬) মারা গেছেন।(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (৪ মে) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
জানা গেছে, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হন ড. রাসেল। এরপর তিনি দীর্ঘদিন ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কয়েক মাস আগে তাকে ভারতেও চিকিৎসা করানো হয়। ঢাকায় তিনি বোনের বাসা ছিলেন।
সোমবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবারও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় সেখান থেকে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি।
প্রিয় শিক্ষক-সহকর্মীর অকালমৃত্যুতে রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিভাগের শিক্ষার্থী আকন্দ ওমর ফারুক লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্যারকে দেখতে গিয়েছিলাম দুইবার। প্রথমবার বিশেষ পোশাকে স্যারের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম কয়েক মিনিট। মাসখানেক পর দ্বিতীয়বার বিশেষ কক্ষের বাইরে থেকে স্যারকে দেখে বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠেছিল। চিনতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলেই গেলেন তিনি। ওপারে ভালো থাকবেন স্যার, এই দোয়া ছাড়া আর উপায় কী?
আরেক শিক্ষার্থী আহমেদ সজীব লিখেছেন, চলে যাওয়া নিয়ে এত এত মৃত্যু সংবাদের চেয়ে অন্ধকারে ডুবে যাওয়া ভালো স্যার, বড় অসময়ে চলে গেলেন।
ড. রাসেলের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। ঢাকা থেকে মরদেহ সেখানেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পারিবারিক জীবনে এক শিশুকন্যার বাবা শিক্ষক রাসেল। তার স্ত্রীও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
অসুস্হ হবার সম্ভবত এক দিন অাগে অামাদের একটি ক্লাশ নিলেন। ক্লাশ করে সিরাজগন্জ ফিরে এসে জানলাম তিনি ষ্ট্রোক করেছেন। পরবর্তী প্রতিটি ক্লাশে যেতাম খোজ নিতাম। অামার মনে স্যারের সুস্হতা নিয়ে দোদুল্যতা ছিল। তবু প্রতি মূহুর্তেনিজ মনকে বুঝাতাম, সু্সহ হয়ে ফিরে অাসুক স্যার অামাদের মাঝে। স্যার ফিরে অাসবেনই তার পরিবারের মাঝে, সহকর্মীদের মাঝে, তার স্নেহস্পদ ছাএদের মাঝে। কিন্ত অামি বা অামরা যা চাইলাম, সৃষ্টিকর্তা তা চাইলেন না। স্যারকে নিয়ে গেলেন অামাদের মাঝ থেকে। মনকে মানাতে পারছি না, এতো চলে যাবার বয়স না। তবু সৃষ্টিকর্তা কেন নিয়ে গেলেন এবয়সে। জানি এর মধ্যে স্রষ্টার কি খেলা অাছে? স্যার যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন, শান্তিতে থাকুন। প্রার্থনা সব সময়।
অসুস্হ হবার সম্ভবত এক দিন অাগে অামাদের একটি ক্লাশ নিলেন। ক্লাশ করে সিরাজগন্জ ফিরে এসে জানলাম তিনি ষ্ট্রোক করেছেন। পরবর্তী প্রতিটি ক্লাশে যেতাম খোজ নিতাম। অামার মনে স্যারের সুস্হতা নিয়ে দোদুল্যতা ছিল। তবু প্রতি মূহুর্তেনিজ মনকে বুঝাতাম, সু্সহ হয়ে ফিরে অাসুক স্যার অামাদের মাঝে। স্যার ফিরে অাসবেনই তার পরিবারের মাঝে, সহকর্মীদের মাঝে, তার স্নেহস্পদ ছাএদের মাঝে। কিন্ত অামি বা অামরা যা চাইলাম, সৃষ্টিকর্তা তা চাইলেন না। স্যারকে নিয়ে গেলেন অামাদের মাঝ থেকে। মনকে মানাতে পারছি না, এতো চলে যাবার বয়স না। তবু সৃষ্টিকর্তা কেন নিয়ে গেলেন এবয়সে। জানি না এর মধ্যে স্রষ্টার কি খেলা অাছে? স্যার যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন, শান্তিতে থাকুন। প্রার্থনা সব সময়।