কুমিল্লায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক মুদি ব্যবসায়ীকে ঢাকায় নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে তার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে চান্দিনা এলাকায় তিনি মারা যান।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম জামাল হাজারী (৪৫)। তিনি কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌরসভার চাঁপা নগর এলাকার বাসিন্দা। এ নিয়ে দেবীদ্বার উপজেলার চারজন করোনায় মারা গেলেন।
দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহম্মদ কবীর এ তথ্যে নিশ্চিত করেছেন।
জামাল হাজারীর ভাগনে মো. বাছির আহমেদ বলেন, ‘মামার (জামাল হাজারী) ৫ মে থেকে জ্বর, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নমুনা সংগ্রহকারীরা তার নমুনা সংগ্রহ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর বিকেলে তাকে কুমিল্লা শহরে নেওয়ার জন্য রওনা হই। কুমিল্লায় যাওয়ার পথেই খবর পাই মামার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপর তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে রাত ৯টার দিকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার দিকে রওনা হই। চান্দিনার কাছে পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সেই তিনি মারা যান ‘
এর আগে গত ১০ এপ্রিল দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের নবীয়াবাদ গ্রামের জীবন কৃষ্ণ সাহা, ২১ এপ্রিল বরকামতা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বাগুর গ্রামের বাসিন্দা শাহজালাল এবং ৩০ এপ্রিল দেবীদ্বার নিউ মার্কেটের শংকর হোমিও হলের মালিক সুকুমার চন্দ্র দে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
জেলা সিভিল সার্জন মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘কুমিল্লা জেলায় গতকাল রাত পর্যন্ত ১২২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দেবীদ্বারের ৩১ জন। জেলায় মারা গেছেন পাঁচজন। এর মধ্যে দেবীদ্বারেরই চারজন। আরেকজন চান্দিনার।’