বগুড়া কারাগার থেকে আরও ৮৮ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি থাকার কারণে কারাগারে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে শুক্রবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। বগুড়ায় জেল সুপারের দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিন জানান, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১-এর ১ ধারা অনুযায়ী স্বল্প মেয়াদী সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে মুক্তিদান কার্যক্রম শুরু হয় এবং সর্বশেষ সোয়া ৬টা পর্যন্ত চলে।
বগুড়া কারাগারের জেলার শরিফুল ইসলাম জানান, ওই কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৭২০ জন হলেও বর্তমানে সেখানে প্রায় তিনগুণ বন্দি রয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক বন্দির কারণে করোনা পরিস্থিতিতে কারাগারের অভ্যন্তরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
যে কারণে সরকারিভাবে স্বল্প মেয়াদী দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের আলোকে কারা সদর দপ্তর থেকে সম্প্রতি বগুড়া কারাগারে স্বল্প মেয়াদী দণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্তি প্রদানের লক্ষ্যে তালিকা চাওয়া হয়।
যাচাই-বাছাই শেষে বগুড়া কারাগার থেকে এ ধরনের ১৫৯ জন বন্দির তালিকা সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। ওই তালিকা থেকে কিছুদিন আগে প্রথমে ৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৭ জন এবং শুক্রবার তৃতীয় দফায় আরও ৮৮ জনকে মুক্তি দেওয়া হলো।
জেল সুপারের দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজ উদ্দিন জানান, কোন বিচারাধীন আসামিকে নয় বরং যারা দণ্ডিত তাদেরকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এক বছর এবং তার কম সাজাপ্রাপ্ত এবং কিছু ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিতদেরই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।