জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা ২ জন, সদর উপজেলায় ২ জন ও আক্কেলপুর উপজেলায় ১ জনসহ জেলায় ৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৩ জনে।
শনিবার (৯ মে) দুপুরে ঢাকার আইইডিসিআরে থেকে পাঠানো রিপোর্টে ৩ জন ও গতকাল রাতে ২ জনসহ ৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা।
করোনা আক্রান্তরা হলেন, সদর উপজেলার এক নারী ও তার সাত মাস বয়সী ছেলে,আক্কেলপুর উপজেলার সোনামূখী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পূত্রবধূ। পাঁচবিবি উপজেলার ২৪ বছর বয়সী নারায়নগঞ্জ ফেরত গার্মেন্টসকর্মী বিনশিরা গ্রামের বাসিন্দা ও ৩৩ বছর বয়সী গাজীপুরফেরত গোড়না আদর্শপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় প্রশাসন ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, ১০ দিন আগে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে দেবরাইল (লালিপাড়া) গ্রামে আসে পরিবারটি। আসার পর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর কাপড় কেনা-কাটাকে কেন্দ্র করে অভিমান করে ওই নারী তার সাত মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে যাত্রাবাড়ী চলে গেছে। এছাড়াও বিনশিরা গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী বেতন উত্তেলনের জন্য নারায়ণগঞ্জে গেছে।
আওলাই ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম জানান, নারায়নগঞ্জ ফেরত গার্মেন্টস কর্মীর নমুনা ১ তারিখে সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট না আসায় সে বেতনের জন্য নারায়নগঞ্জে গেছে তাকে খবর দেওয়া হয়েছে। আজকের মধ্যে সে জয়পুরহাটে আসবে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, যাত্রাবাড়ী থানাতে খবর দেওয়া হয়েছে তারা যেন ওই নারী ও ছেলেকে যাত্রাবাড়ী আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করায় এবং তার স্বামীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন (টিটিসি) তে রাখা হয়েছে।
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা জানান, শনিবার দুই দফায় ৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। তাদেরকে আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশনে (সেফ অতিথিশালা) পাঠানো হয়েছে।