রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দেবরের বিরুদ্ধে ভাবীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সাত মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও সংসারের দুমাস পার হতেই শুরু হয় শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবরের নির্যাতন । প্রথম দিকে যৌতুকের জন্য স্বামীর পক্ষ হতে চাপ ছিলো। দিন যতই যেতে থাকে ততই বাড়তে থাকে সেই নির্যাতন। শেষ পর্যন্ত স্বামীর অবর্তমানে দেবর ঘরে ঢুকে চালায় যৌন নির্যাতন।
গোদাগাড়ী পৌর শহরের সাগরপাড়া গ্রামে শনিবার (৯ মে) সন্ধ্যার পর গিয়ে দেখা যায় বিছানায় কাতরাচ্ছিলেন ভূক্তভোগী গৃহবধূ ।
জানা যায়, গত সাত মাস আগে রেলবাজার এলাকার চান্দু মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা (৩০) এর সাথে পারিবারিভাবে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। প্রথম দিকে স্বামীর যৌতুকের টাকার জন্য চাপ ছিলো। পরে শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই দেবরের নির্যাতন চলতে থাকে। পেটে বাচ্চা থাকায় মাথা ঘোরা ও বমি দেখা দিলে গত ৭ মে দেবর জোর করে ৪ বারে প্রায় ২০ টি ওষধ খাওয়ালে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ।পরে তার পরিবারের লোকজন শ্বশুর বাড়ি হতে নিয়ে এসে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুইদিন হাসপাতালে থাকার পর এখন বাসায় আছেন তিনি।
ভূক্তভোগী ওই নারী জানান, স্বামী নদীতে মাছ ধরার কাজে বাইরে থাকলে দেবর সোহেল রানা জোরপূর্বক ঘরে নিয়ে গিয়ে চালায় যৌন নির্যাতন। আর এসব কথা কাউকে বললে সংসারে অশান্তি লাগা ও মারধরের ভয় দেখিয়ে রাখতো। স্বামী মাসুদ রানাকে অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হয়নি।
ভূক্তভোগীর ভাই জানান, বোন জামাই প্রায় টাকার জন্য চাপ দিতো। আমি এসব বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে ভয়ে কিছু বলতো না। তারা আমার বোনকে অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ায়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। এবং তার দেবর সোহেল রানা তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। তিনি এসবের বিচার চান।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল ইসলাম জানান, এসব বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।