সাকিব আল হাসানের সংসদ সদস্য হওয়া নিয়ে এখনো চলছে নানা গুঞ্জন। অবশেষে তিনি নিজ মুখেই শোনালেন এ নিয়ে বিস্তারিত গল্প। এই মুহূর্তে তার তেমন কোন বাড়তি ভাবনা নেই, এটিও জানিয়েছেন সাকিব। করোনাভাইরাস তাকে শিক্ষা দিয়েছে বেশি দূরের কথা ভাবার প্রয়োজন নেই। ফলে এমপি হওয়া না হওয়ার বিষয়টি সময়ের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন সাকিব।
প্রায় ১৭ মাস পর জার্মান সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘এগুলো আসলে সব সময়ের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। ভবিষ্যতে কী হবে তা বলা খুব কঠিন। করোনাভাইরাস আমাকে এই শিক্ষাটা দিয়েছে যে, আগামীকাল কী হবে তা আমরা কেউ জানি না। তাই এই জায়গা থেকে বলবো যে, খুব বেশি দূরের কিছুতে ফোকাস আমি করতে চাই না। যদি সুযোগ আসে (এমপি হওয়ার) তাহলে আমি স্বাগত জানাব। আর যদি না আসে তাহলেও আমি আফসোস করব না।’
২০১৮ সালের নির্বাচনকালীন সময়ে জনশ্রুতি চালু ছিল যে, সাকিব আল হাসান নিজেই সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি মাশরাফির সঙ্গে তিনিও মনোনয়নপত্র তুলতে চেয়েছিলেন। তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ান সাকিব।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রহস্যটা রহস্যই রাখার কথা বলেছেন সাকিব। জানিয়েছেন এটা খুবই গোপনীয়তার বিষয়, যা কখনও জনসম্মুখে না আসাই ভালো। ফলে তৈরি হওয়া কৌতূহলকেও স্বাগত জানিয়েছেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘কিছু জিনিস আসলে গোপনীয়তার মধ্যে রাখাই ভালো। অল্প কিছু বিষয় থাকে যা কখনও প্রকাশ পাওয়া ঠিক নয়, এটাও তেমন একটা বিষয়। আমি ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসলেও এটা গোপন থাকবে, না আসলেও গোপন থাকবে। এটা এমনই একটা সিক্রেট, যেটা আমি চাই না কেউ কখনও জানুক।’
সাকিব আরও যোগ করেন, ‘এ জিনিসটা কৌতূহল জাগার মতোই একটা বিষয়। অনেক দিন ধরে এটা নিয়ে কৌতূহল থাকাটাও খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি যদি এখন আমার জায়গায় না থাকতাম, তাহলে আমারও কৌতূহল থাকত। তবে এই কৌতূহল আসলে মানুষের মনে থাকা দরকার। সব কৌতূহল যদি প্রকাশ করে দেয়া হয়, তাহলে মানুষের আর আমাকে নিয়ে আগ্রহ থাকবে না। তাই কৌতূহল থাক, এটা ভালো জিনিস।’