চাঁদের পৃষ্ঠে খোঁজ পাওয়া গেছে চন্দ্রযান ২ এর। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) চন্দ্রযানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডারের সঙ্গে ইসরোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে এর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ইসরোর প্রধান বিজ্ঞানী ড. কে শিবন আজ রোববার আশার কথা শুনিয়েছেন।
ইসরো প্রধানের মন্তব্য উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আমরা চাঁদের পৃষ্ঠে বিক্রম ল্যান্ডারের অবস্থান খুঁজে পেয়েছি। ল্যান্ডারের থার্মাল ইমেজ সংগ্রহ করেছে অরবিটার। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করা যায়নি। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি। খুব দ্রুতই যোগাযোগ করা যাবে।
স্থানীয় সময় শনিবার ভোররাতে চাঁদে দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানোর কথা ছিল চন্দ্রযান-২ এর। অভিযান পরিচালনা করতে ভারতের ব্যয় হয়েছে এক হাজার কোটি রুপি। এই অর্থ এর আগে পরিচালিত যেকোনো দেশের চন্দ্রাভিযানের খরচের তুলনায় বহুগুণ কম। ইসরো বলছে, একই ধরনের অভিযানে মার্কিন সংস্থা নাসার ২০ গুণ অর্থ খরচ হয়ে থাকে।
গত ২৩ জুলাই অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-২। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় এক মিনিটের মধ্যে সেটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। তার এক সপ্তাহ আগে প্রথমবারের উৎক্ষেপণ বাতিল হয়।
চন্দ্রযান-২ এর সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গেই ইতিহাস রচনার দিকে তাকিয়ে ছিল ভারত। চাঁদের পৃষ্ঠে ধীরে ধীরে অবতরণ করলেই, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনের পরেই স্থান হতো ভারতের। পাশাপাশি প্রথমবারেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণের রেকর্ডও দখলে আসত ভারতের।
গতকাল শুক্রবার চাঁদের পৃষ্ঠ স্পর্শ করার আগেই নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান-২-এর। চূড়ান্ত অবতরণের আগে ওই রোবোটিক গবেষণা যানটি চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়েছে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়ায়।