নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, অনেক মানুষ এখন বিনা আইনি সহায়তায় বন্দি রয়েছেন। এমনো অনেকে রয়েছেন কোর্ট বন্ধ হবার দুদিন আগে বন্দি হয়েছেন তারা জামিন পাচ্ছেন না। আবার অনেকের রিমান্ড শুনানি বাকি রয়েছে। ভার্চ্যুয়াল কোর্টে রিমান্ড শুনানি করা যাবে না। রিমান্ড শুনানি না হলে জামিনও ঝুলে থাকবে। হয়তো সে দুদিন পরেই মুক্তি পেয়ে যেত কিন্তু এখন তো জামিন চাইতেই পারছেন না। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার আরও ব্যাহত হচ্ছে।
বুধবার (১৩ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গৃহীত হবার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
তিনি জানান, আমরা চেয়েছিলাম যেহেতু প্রায় সব কিছুই খুলে দেওয়া হয়েছে সেহেতু আমরাও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে প্রতিটি মামলার শুনানির একটি নির্ধারিত সময় নিয়ে তখন শুধু একজন পিপি ও মামলার উভয়পক্ষের একজন আইনজীবী দূরত্ব বজায় রেখে কোর্টে প্রবেশ করে শুনানি করবেন। যেহেতু বিচারকের আসন উপরে ও নিরাপদ দূরত্বে সেহেতু সেখানে ঝুঁকি কম। এই তথ্য প্রযুক্তির প্রক্রিয়াটি একটি শুভঙ্করের ফাঁকি, এতে কারোই সুফল পাওয়ার তেমন কোনো সুযোগ নেই।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত জানান, এখন আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত হয়েছে, আর তাই নারায়ণগঞ্জের সব আইনজীবী এ আদালতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকছি। এখানে তথ্যপ্রযুক্তির গ্যাঁড়াকলে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণকে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই শুভঙ্করের ফাঁকিতে কারোই সুফল পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির সদস্যদের জানানো হয়, ভার্চ্যুয়াল কোর্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও ইনস্ট্রুমেন্ট না থাকায় আইনজীবীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কার্যকরী কমিটির সভায় ভার্চ্যুয়াল কোর্ট পরিচালনা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।