প্রযুক্তিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে রাজশাহীতে ভার্চুয়াল কোর্ট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবীরা। বুধবার (১৩ মে) দুপুরে রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
রাজশাহী বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহেদী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি কে বলেন, আমরা দুই দফা মিটিং করেছি। বিচারকসহ আদালত সংশ্লিষ্টদের সাথেও কথা বলেছি। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ভার্চুয়াল কোর্ট বয়কট করছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আইনজীবীরা প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ নয়। তাদের সকলের ঘরে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগও নেই। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল- কোর্ট চালুর আগে আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। যদিও এখন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দুষ্কর, তবুও অসম্ভব নয়। বৃহৎ স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ এবং ডিজিটাল সরঞ্জামাদি নিশ্চিতের ব্যবস্থা করলে আমরা ভার্চুয়াল কোর্টে যোগদানের বিষয়ে ভেবে দেখবো।
জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রাজশাহীতে দুটি ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই অনুযায়ী দুটি কোর্ট চালুর সকল প্রস্তুতি সম্পন্নও করা হয়। তবে শুধুমাত্র আইনজীবীদের প্রযুক্তিজ্ঞান না থাকায় কোর্ট দুটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, রাজশাহীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোমবার (১১ মে) দুটি ভার্চুয়াল কোর্ট গঠন করা হয়। জেলার বাগমারা, দুর্গাপুর, বাঘা ও চারঘাট উপজেলার জন্য নির্ধারিত হয় এক নম্বর ভার্চুয়াল কোর্ট। এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট্র মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন ভুঁইয়া।
আর গোদাগাড়ী, তানোর, পুঠিয়া ও মোহনপুর উপজেলার জন্য নির্ধারিত হয় দুই নম্বর ভার্চুয়াল কোর্ট। এই কোর্টের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ভার্চুয়াল কোর্টে চালু হলে আইনজীবীরা ঘরে বসেই কারাবন্দী আসামির জামিনের আবেদন করতে পারবেন। নির্ধারিত সময় তিনি ঘরে বসেই আদালতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অংশ নিতে পারবেন শুনানিতেও। আদালত জামিন মঞ্জুর করলে আসামিরা মুক্তি পাবেন।