যশোর সদর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের নেছার আলীর ছেলে ইমরান হোসেনকে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার কর্তৃক নির্যাতনের ফলে তার দুই কিডনি নষ্ট হওয়ার অভিযোগে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ভিকটিমের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার এবং যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয়ভার যেন বিবাদীরা বহন করে এই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, যশোরের পুলিশ সুপার, যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং যশোরের সিভিল সার্জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন।
হুমায়ুন কবির পল্লব জাগো নিউজকে বলেন, ‘রিট আবেদনের ওপর আগামী ২১ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।’
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ৮ জুন যশোর জেলার সদর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের নেছার আলীর ছেলে ইমরান হোসেনকে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ অফিসার নির্মম প্রহারের কারণে তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে বলে পরদিন (৯ জুন) বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ইমরান বর্তমানে যশোরের কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা যায়, যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক এবং ইমরানের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন হয়েছে। তাই ওই ঘটনার একটি সুষ্ঠু বিচার ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।