মণিরামপুরের শ্যামকুড়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ইব্রাহিম খলিল এবং রিপন সরদার নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (১৭ জুন) গভীর রাতে উপজেলার চিনাটোলা গ্রামের জনৈক আসাদের বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে র্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল শাখার সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের দাবি, তারা সেখানে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও একটি রামদা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি র্যাবের।
তবে ইব্রাহিমের স্বজনদের দাবি, সে যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। র্যাব পরিচয়ে গত ১৩ জুন রাতে তাকে মাইক্রোবাসযোগে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ইব্রাহিম ও রিপনকে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় মণিরামপুর থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব। রাতেই এই ঘটনায় র্যাব-৬ খুলনা কোম্পানীর স্পেশাল কমান্ডের ডিএডি রিপন শিকদার বাদি হয়ে মণিরামপুর থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেছেন।
ইব্রাহিম যশোর সদর উপজেলার তেঘরি গ্রামের মাহাবুর রহমানের ছেলে এবং রিপন বড়মেঘলা গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে। তারা দু’জনে বন্ধু।
মামলার বরাত দিয়ে মণিরামপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই আজাদ জানান, বুধবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ইব্রাহিম ও রিপন র্যাবের হাতে অস্ত্রগুলিসহ গ্রেপ্তার হয়েছে।
মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, ইব্রাহিম এবং রিপনের বিরুদ্ধে র্যাব ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে দুইটি মামলা করেছে। আজ শুক্রবার (১৯ জুন) তাদের আদালতে হাজির করা হবে।
এদিকে ইব্রাহিমের স্বজন ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের দাবি গত ১৩ জুন রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার লাউজানি বাজার থেকে ইব্রাহিম ও রিপনকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তারা বাজারের একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে গল্প করছিল। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল তারা। এই ঘটনার পরের দিন যশোর র্যাব অফিস, কোতোয়ালি থানাসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে তাদের সন্ধান মেলাতে পারেননি স্বজনরা। পরে ১৬ জুন দুপুরে ইব্রাহিমের মা নূরজাহান বেগম ঝিকরগাছা থানায় একটি জিডি করেন।সর্বশেষ ইব্রাহিমের সন্ধান চেয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেয় ছাত্রদল। এরপর বিকেল চারটায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পরে অবশ্য প্রেসক্লাবে ঢুকে পুলিশ সাংবাদিক সম্মেলনে বাধা দেয়।