Related Articles
সরকার ভার্চুয়াল আদালত অধ্যাদেশকে একটি স্থায়ী আইনে পরিণত করতে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই এটি কার্যকর করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ আইন পাস হলে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়েও ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা করা যাবে এবং এর ফলে মামলা নিষ্পত্তিতে অর্থ ও সময় উভয়ই কম ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
‘আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং কোভিড-১৯ পরর্বতী সামাজিক নিয়ম-নীতির প্রতিফলন” শীর্ষক জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বার্ষিক সভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আইনমন্ত্রী এ বক্তব্য প্রদান করেন।
বুরকিনা ফাসোর বিচারমন্ত্রী বেসোল রেনে বেগোরো, আর্মেনিয়ার উপবিচারমন্ত্রী ক্রিস্টিন গ্রিগোরিয়ান, শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার কমিশনের প্রধান প্রফেসর ড. নেলুম দিপিকাসহ জাতিসংঘ ও ইউএনডিপির বিশেষজ্ঞগণ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ এ ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হন। ইউএনডিপির ক্রাইসিস ব্যুরোর উপপরিচালক জর্জ কনওয়ে সভা সঞ্চালনা করেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনডিপি এডমিনিস্ট্রেটর এ্যাসিম স্টেইনার। সভায় বাংলাদেশের ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেন আলোচকরা।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, নভেল করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি হ্রাস করতে সরকার সাধারণ ছুটি আরোপ করা সত্ত্বেও দেশে ন্যায়বিচারের দাবি ক্রমবর্ধমানহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ইউএনডিপি প্রদত্ত প্রযুক্তিগত সহায়তায় সুপ্রিম কোর্টের নেতৃত্বে সরকার দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অধস্তন আদালত এবং উচ্চ আদালতের কয়েকটি বেঞ্চে বিচারকার্যক্রম সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ মূলত একটি অধ্যাদেশ জারি করে আদালত পরিচালনার অনুমতি দেয়। আমরা এ অবস্থাকে বজায় রাখতে এবং এ সময়কালের কয়েকটি সেরা অনুশীলনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং বিচার ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খলভাবে রূপান্তর করতে চাই।’
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার সাক্ষ্য আইন সংশোধন করার বিষয়ে কাজ করছে। এটা করা গেলে আইনি কার্যক্রমে কিছু ফাঁকফোকর কমতে পারে। এ ছাড়া সরকার করোনা পরিস্থিতিকালে জনগণকে আইনি পরার্মশ সহায়তা দেওযার জন্য সপ্তাহের সাত দিনই ২৪ ঘণ্টা জাতীয় হেল্প লাইন কল সেন্টার চালু রেখেছে।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on Skype (Opens in new window)