মিতা খাতুন,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
ন্যায্য দাবী আদায়ে মরিয়া হয়ে পড়েছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। এই শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের ন্যায্য দাবীর প্রধান সমন্বয়ক এ,কে মাহমুদ,সুমনা আক্তার লিলি ও আইনুল ইসলাম বিশাল। এদের সফল নেতৃত্বে, আপ্রাণ চেষ্টায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমে এগিয়ে চলছে ১৩ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য পালিত চলমান কর্মসূচী। কর্মসূচীর অংশ হিসেবে তারা গত ৭ জুলাই ঢাকার বার কাউন্সিলের সামনে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করে। একই দিন বিকেলে আমরণ অনশণ শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে। অাজ আমরণ কর্মসূচীর ৭ম দিন চলছে। দেশের ৬৪ জেলা থেকে ৮১ টি বারের শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা এ আন্দোলনে অংগ্রহণ করেছে।
জানা যায়, শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের আইন পেশায় তালিকাভূক্তির দীর্ঘ পরীক্ষা জট ও বর্তমান উদ্ভুত করোনা ভাইরাস জনিত কারনে তাঁদের পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বার কাউন্সিলের নিয়ম অনুসারে বছরে দুইটি আইনজীবী তালিকাভূক্তির কথা থাকলেও তা সঠিকভাবে পালন হচ্ছে না। এমনকি মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে প্রতি ক্যালেন্ডার ইয়ারে একটা পরীক্ষা সমাপ্তের কথা থাকলেও সেটাও সঠিকভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে না। ফলে এ শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের নেমে এসেছে দূর্ভোগ। ফলে প্রিলি পাশকৃত শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের রিটেন ভাইভা মওকুফ করে গেজেটের মাধ্যমে আইনজীবী অন্তর্ভূক্তির জন্য আচটজকের এ অনশন কর্মসূচী পালন করছে তাঁরা।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের দাবী- যেহেতু বর্তমান করোনা পরিস্থিতে ২০১৭ ও ২০২০ সালের এমসিকিউ উত্তীর্নদের রিটেন ভাইভা পরিক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেটা কেউ জানে না। তাই প্রিলি পাশকৃত ২০১৭ এবং ২০২০ সালের শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের গেজেটের মাধ্যমে সনদ দেওয়া হোক।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা আরোও জানান, আমাদের এ ন্যায্য দাবী আদায়ের প্রধান সমন্বয়ক এ,কে মাহমুদ, সুমনা আক্তার লিলি ও আইনুল ইসলাম বিশাল ভাই সহ নেতৃত্বে কার্যকর ভূমিকা রাখছেন বোনা আসাদ, মোঃ নাহিদুর রহমান নাহিদ,শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল সহ অনেকে। আমরা এনাদের সফল নেতৃত্বে আমাদের দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে অামরণ অনশন কর্মসূচী অব্যাহত রাখবো। আমরা কেউ কেউ শিক্ষানবিশকাল ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত অতিবাহিত করছি। আমরা পরিবার তথা সমাজের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না। সব ক্ষেত্রেই হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। কাজেই আমরা আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে গেজেটের ঘোষনা নিয়েই এখান থেকে বাড়ি ফিরে যেতে চাই। তাই ১৩ হাজার পরিবার সমন্বয়কদের নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছে।
উল্লেখ্য,এই শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা সারা দেশে গেজেটের মাধ্যমে সনদের দাবীতে একযোগে গত ৯জুনে দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে ছিলেন। এছাড়া একই দাবীতে গত ৩০ জুন ঢাকা প্রেসক্লাবে প্রেস কনফারেন্স করেন ও সারাদেশে জেলা ভিত্তিক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছিলেন।