বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি কমতে থাকলেও বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির কোন উন্নয়ন হয়নি। এখনো পানিবন্দি হয়ে জীবন কাটাচ্ছে যমুনা নদীর পাড়ের মানুষ। রবিবারের পর সোমবার দুপুরেও যমুনা নদীর পানি কমে এখন বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার এই নদীর পানি বেড়ে ১২৮ সেন্টিমিটার ছুঁয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, নদীর পানি কমছে। বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নয়ন হবে। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।
বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান জানান, যমুনা নদীর পানি মথুরাপারা পয়েন্টে সোমবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৩ সেন্টিমিটার কমে এখনও বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দ্বিতীয় দফার বন্যায় প্রায় ৩৩ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। বন্যাকবলিত এলাকা নিয়মিত পরিমদর্শন করা হচ্ছে।এদিকে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বন্যায় আক্রান্ত লোকজনের দুর্ভোগ কমেনি। এখনও লোকজনের বাড়ী ঘর বন্যার পানিতে ডুবে আছে। যমুনা নদী এলাকার চরের পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
বগুড়া জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আজহার মন্ডল এর কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, এবারে জেলায় ১৫৮টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ৩১ হাজার ৮৩৬টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। এখানে প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮৩১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হযেছে। ৪০০ মেট্রিক টন চাল, ৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, শিশু খাদ্য ২ লাখ টাকার, শুকনা খাবার ২ লাখ টাকার বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া গবাদী পশুর চারনভুমি বন্যায় তলিয়ে যাওয়ায় পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা আক্রান্ত লোকজন বিভিন্ন উপায়ে জীবনধারণ করে আছে। কেউ বা বাঁধে, কেউ বা বিভিন্ন এলাকার উচুঁস্থানে আশ্রয় নিয়ে রাত কাটাচ্ছে। উপজেলায় গত ২৫ জুলাই হতে বন্যা শুরু হয়। বন্যা শুরু হওয়ার ১ সপ্তাহ পর বন্যা কমলেও ২য় দফায় আবার বন্যায় আক্রান্ত হওয়ায় বানভাসি মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পরেছে।