Related Articles
বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপিকা আঁখি ভদ্রর (৩০) আপত্তিকর অশ্লীল ছবি প্রকাশ করে সামাজিকভাবে সম্মানহানি করার অভিযোগে করা মামলায় ওই টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ইমরান হোসেন সুমনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজ তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। পল্লবী থানায় পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় মোবাইল উদ্ধারের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন টিমের পরিদর্শক কাজী মো. নাসিরুল আমীন।
অন্যদিকে তার আইনজীবী তুহিন হাওলাদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রোববার (১৯ জুলাই) রাতে হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
ডিবির উপ-কমিশনার (ডিসি-সিরিয়াস ক্রাইম) মীর মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, এটিএন নিউজের এক সহকর্মীর করা মামলায় আমরা একজন আসামিকে গ্রেফতার করেছিলাম। সেই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ইমরান হোসেন সুমনের নাম উঠে আসে।
আপত্তিকর অশ্লীল ছবি প্রকাশ করায় ১২ জুলাই আঁখি ভদ্র বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ধারা দেয়া হয়েছে ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ (৩) ও ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯ ধারা।
মামলার অভিযোগে আঁখি ভদ্র উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ২৩ মে আঁখি ভদ্রর স্বামী রনদা প্রসাত দাসের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন আইডি থেকে আপত্তিকর অশ্লীল এসএমএস করে তার বিষয়ে খারাপ মন্তব্য করেন। যা দেখে স্বামীর মন মানসিকতা খারাপ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তার স্বামী বিষয়গুলো শেয়ার করেন। অতঃপর উপস্থাপিকা বিষয়টি নিয়ে মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু ডায়েরি করার পরও অজ্ঞাত বিবাদীরা হোয়াটস অ্যাপ (whatsapp) ব্যবহার করে তার নামে স্বামী, দেবর, মা এবং দুজনের স্বামীর বন্ধু বান্ধবদেরকে বিভিন্ন আপত্তিকর এসএমএস ও ছবি প্রেরণ করতে থাকেন।
তিনি বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তি আমার পরিচয় গোপন করে আমার স্বামীর ছবি ব্যবহারপূর্বক ফেইক আইডি প্রস্তুত করে ইলেক্ট্রনিক ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করে মান সম্মান নষ্ট করতেছে।
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window)
- Click to share on Twitter (Opens in new window)
- Click to print (Opens in new window)
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
- Click to share on Telegram (Opens in new window)
- Click to share on Skype (Opens in new window)