মাস্ক পরতে বলায় পুলিশের এক সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনায় রাজধানীর পল্লবী থানা যুবলীগ নেতা জুয়েল রানার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলার এজাহার, এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) এসে পৌঁছালে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদার হোসেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত সোমবার রাতে সরকারি কাজে বাধা ও চুরির অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলাটি করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আল ফরহাদ মোল্লা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, যুবলীগ নেতা জুয়েল রানাকে মাস্ক পরতে বলায় তিনি তার (ট্রাফিক সার্জেন্ট) ওপর হামলা চালান এবং শরীরে সংযুক্ত ক্যামেরা কেড়ে নেন। জুয়েল নিজের পকেট থেকে পিস্তল বের করেও সার্জেন্টের দিকে তেড়ে আসেন।
তবে এ ঘটনায় এখনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মঙ্গলবার সকালে পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুণ্ড জানিয়েছেন, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সার্জেন্ট ফরহাদ পল্লবী ট্রাফিক জোনের কালশী রোডে দায়িত্বরত থাকাকালে একটি মিনিবাস রাস্তার মাঝে থেমে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট কমাতে অন্য একটি বাসকে মিনিবাসটি ঠেলে সরানোর জন্য বলা হয়। এ সময় যুবলীগ নেতা রানাকে মিনিবাসের চালককে বকা দিতে থাকেন। এ দেখে সার্জেন্ট ফরহাদ এগিয়ে গিয়ে রানাকে সরে যেতে বলেন। এছাড়া তিনি মাস্ক না পরে থাকায় ফরহাদ তাকে মাস্ক পরতে বলেন। এতে যুবলীগের ওই নেতা ক্ষুদ্ধ হয়ে সার্জেন্ট ফরহাদের শরীরে আঘাত করেন। এর এক পর্যায়ে তিনি ফরহাদকে নিজের সঙ্গে থাকা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেন।
তিনি বলেন, এঘটনার কিছুক্ষণ পরে ৩০ থেকে ৪০ জন সহযোগীকে নিয়ে যুবলীগ নেতা রানা কালশী পুলিশ বক্সের কাছে পৌঁছান এবং ফরহাদকে মারধর করে বডি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন ও ইউনিফর্ম ছিঁড়ে ফেলেন। পরে পল্লবী থানা থেকে পুলিশ আসলে রানা সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে যান।