মিতা খাতুন,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ন্যায্য দাবী আদায়ে বদ্ধ পরিকর শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। সম্মিলিত শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি স্মরণ, যুগ্ম আহ্বায়ক একে মাহমুদ, সুমনা আক্তার লিলি, শেখ মো.আবুল হাসনাত বুলবুল, আইনুল ইসলাম বিশাল তথা আহ্বায়ক কমিটির সকল সদস্য সহ
ভুক্তভোগী শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা শপথ নিয়েছে তাদের দাবী আদায় করে-ই ঘরে ফিরবে।
জানা জায়,প্রিলিমিনারী পাশকৃত (২০১৭ ও ২০২০) সালের রিটেন পরীক্ষার তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর
ঘোষনা করেছে। তারিখ ঘোষনা করলেও পরীক্ষার্থীরা এ তারিখ মানতে নারাজ। কারন তাদের দাবী রিটেন পরীক্ষার খাতায় ওএমআর পদ্ধতি সংযুক্ত না থাকায় আবুল পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে মকবুল। তাছাড়া কোন রকম রিটেন পরীক্ষা একবার নিতে পারলে আর এটার রেজাল্ট যে কবে দিবে তার কোন ইয়ত্তা থাকে না। এমনকি পরীক্ষার খাতা পূনঃ নিরিক্ষনেরও কোন ব্যবস্থা নাই। সব অনিয়ম আর অনিশ্চয়তার জন্য লাইসেন্স পেতে তাঁদের ৩/৫ এমনকি ১০ বছরও লেগে যাচ্ছে। তাই শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের ন্যায্য দাবী যেহেতু সঠিক সময়ে বার কাউন্সিল পরীক্ষা প্রসেস শেষ করতে পারছে না তাতে করোনা মহামারীর প্রভাবও চলমান। তাই প্রিলি পাশকৃতদের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভূক্তির দাবীতে এ চলমান আন্দোলন।
আন্দোলনের সমন্বয়কদের অন্যতম সদস্য সুমনা আক্তার লিলি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের ছাত্র ছিলেন, তিনি সারাজীবন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। কিন্তু আজ আমরা জাতির পিতার বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত, তিন বছর একটি পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছি। তাই আর অপেক্ষা নয় আমাদের জীবনের এ দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে প্রিলি পাশকৃতদের গেজেটের মাধ্যমে সনদ দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য,এই শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা সারা দেশে গেজেটের মাধ্যমে সনদের দাবী সহ অন্যান্য দাবীতে একযোগে গত ৯জুনে দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে ছিলেন। এছাড়া একই দাবীতে গত ৩০ জুন ঢাকা প্রেসক্লাবে প্রেস কনফারেন্স করেন এবং ১৯ জুলাই বার কাউন্সিলের সামনে মহাসমাবেশ করে। সর্বশেষ ৯ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বার কাউন্সিলের সামনে ছাত্র-অবিভাবক সমাবেশ হয়। বর্তমানেও প্রতিদিন আন্দোলন চলছে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে।