মিতা খাতুন,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সম্মিলিত শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি স্মরণ, যুগ্ম আহ্বায়ক একে মাহমুদ, সুমনা আক্তার লিলি, শেখ মো.আবুল হাসনাত বুলবুল, আইনুল ইসলাম বিশাল তথা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গণের ডাকে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় বার কাউন্সিলের সংস্কার ও অন্যান্য দাবী সহ প্রধান ৩ দফা দাবীতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মহাসমাবেশের ঘোষনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের যুগোপযোগী সংস্কার সহ অন্যান্য দাবীর মধ্যে প্রধান ৩ দফা দাবী হলঃ-
১) অবিলম্বে ২০১৭ ও২০২০ সালের MCQ উত্তীর্ন শিক্ষানবিশ আইনজীবীদেরকে এ্যাডভোকেট হিসাবে তালিকাভুক্তি করতে হবে এবং অপেক্ষমাণ প্রায় ৭০,০০০ (সত্তর হাজার ) শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের পরীক্ষার তারিখ ঘোষনা করতে হবে ।
২) যেহেতু লিখিত পরীক্ষায় সময়ক্ষেপন হয় এবং লিখিত পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে ইতিপূর্বে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ও হাইকোর্ট এনরোলমেন্ট পরীক্ষাও দুই ধাপে সম্পন্ন হয় সেহেতু বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষা থেকে লিখিত পরীক্ষা তুলে দিয়ে প্রিলিমিনারি ও ভাইভা এই দুই ধাপের মাধ্যমে নিম্ন আদালতের আইনজীবী তালিকাভুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।
৩) অবিলম্বে নির্বাচিত আইনজীবীদের নের্তৃত্বে এনরোলমেন্ট কমিটি গঠন করতে হবে ।
জানা জায়,প্রিলিমিনারী পাশকৃত (২০১৭ ও ২০২০) সালের রিটেন পরীক্ষার তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর
ঘোষনা করেছে। তারিখ ঘোষনা করলেও পরীক্ষার্থীরা এ তারিখ মানতে নারাজ। কারন তাদের দাবী রিটেন পরীক্ষার খাতায় ওএমআর পদ্ধতি সংযুক্ত না থাকায় আবুল পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে মকবুল। তাছাড়া কোন রকম রিটেন পরীক্ষা একবার নিতে পারলে আর এটার রেজাল্ট যে কবে দিবে তার কোন ইয়ত্তা থাকে না। এমনকি পরীক্ষার খাতা পূনঃ নিরিক্ষনেরও কোন ব্যবস্থা নাই। সব অনিয়ম আর অনিশ্চয়তার জন্য লাইসেন্স পেতে তাঁদের ৩/৫ এমনকি ১০ বছরও লেগে যাচ্ছে। তাই শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের ন্যায্য দাবী যেহেতু সঠিক সময়ে বার কাউন্সিল পরীক্ষা প্রসেস শেষ করতে পারছে না তাতে করোনা মহামারীর প্রভাবও চলমান। তাই প্রিলি পাশকৃতদের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভূক্তির দাবীতে এ চলমান আন্দোলন।
উল্লেখ্য,এই শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা সারা দেশে গেজেটের মাধ্যমে সনদের দাবী সহ অন্যান্য দাবীতে একযোগে গত ৯জুনে দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে ছিলেন। এছাড়া একই দাবীতে গত ৩০ জুন ঢাকা প্রেসক্লাবে প্রেস কনফারেন্স করেন এবং ১৯ জুলাই বার কাউন্সিলের সামনে মহাসমাবেশ করে। সর্বশেষ ৯ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বার কাউন্সিলের সামনে ছাত্র-অবিভাবক সমাবেশ হয়। বর্তমানেও প্রতিদিন আন্দোলন চলছে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে।