রিপোর্ট (মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম)।। টাঙ্গাইলে এডভোকেসী সভায় আলোচকবৃন্দ
“বাংলাদেশে ‘এইচআইভি’ আক্রান্ত নারী রোগী প্রায় সাড়ে ৭ হাজার”
বাংলাদেশে ‘এইডস’ এর বর্তমান পরিস্থিতি, যৌন কর্মীদের সাথে এইডস এর সম্পর্ক এবং প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক এ্যাডভোকেসী সভা বুধবার দুপুরে শহরের ‘ডিসি লেক’ পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ড্রপ ইন সেন্টার’ (ডিআইসি) টাঙ্গাইল ইউনিট এই সভার আয়োজন করে।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে এইচআইভি ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সারাদেশে সাত হাজার ৩৭৪ জন নারী রোগী সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১২শ’ ৪২ জন রোগী মারা গেছে। এ পর্যন্ত টাঙ্গাইলে
তিনজন রোগী সনাক্ত হলেও তাদের মধ্যে দুজন মৃত্যুবরণ করেছে। একজন পলাতক রয়েছে। এইচআইভি ভাইরাস রোগীর রক্ত গ্রহণ এবং জন্মগতভাবে ছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়িয়ে থাকে। টাঙ্গাইল
সদর ও মধুপুরে যৌনপল্লী রয়েছে। সেখানে বিপুল সংখ্যক নারী পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত। এর বাইরে ৫টি হোটেলে ৫৯ জন, কিছু বাসা-বাড়িতে ৩১৮ জন এবং ভ্রাম্যমান ৩৯৯ জন নারী পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত। ডিআইসি সংস্থাটি এইচআইভি ভাইরাস প্রতিরোধে এসব যৌনকর্মীদের নিয়ে সহযোগিতা ও সচেতনতামুলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে বিনামূল্যে কনডম প্রদান, স্বাস্থ্য পরামর্শ, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণসহ নানা কার্যক্রম।
এ্যাডভোকেসি সভায় বক্তব্য দেন, ডিআইসি’র কো-অর্ডিনেটর রিবাদ কিরন আকন্দ, ফোকাল পার্সন এ্যাডভোকেট সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট সাংবাদিক আব্দুল মালেক আদনান, জেলা কালেক্টরেট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রভাষক মফিজুল হক রিয়ান রাজা, সাংবাদিক প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, রেজওয়ান শরিফ, সংস্থার ফিল্ড মনিটর পারভিন আক্তার ডলিসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।