ডেক্স নিউজঃ
সাতক্ষীরা বেস্ট টিম এর আহবায়ক আইনজীবী মিলি ও তার স্বামী গ্রেফতার হয়েছে। অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গ্রেফতার হলেন ফেসবুক বেইজড বিতর্কিত সংগঠন বেস্ট টিম সাতক্ষীরার আহবায়ক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আইনজীবী শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি ও তার মাদকাসক্ত স্বামী কথিত বেস্ট টিম সাতক্ষীরার এডমিন মোস্তাফিজুর রহমান।
জানা যায়, এই চক্রটির বিরুদ্ধে নানান অজুহাতে প্রতিনিয়ত আইন হাতে তুলে নেয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তারা জেলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কোন প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করে যাকে-তাকে অপমান করেন বলে অনেকে্ই অভিযোগ করেছেন। অনুমতি না নিয়ে একের পর এক মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যায় অযাচিত হস্তক্ষেপ করে তাদের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় করারও অভিযোগ রয়েছে এই চক্রটির বিরুদ্ধে।
এদের জাল জেলার সর্বত্র বিস্তৃত বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার(১ সেপ্টেম্বর) ভোররাত দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা গেয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেটস্থ সাতক্ষীরা ফার্মেসী সংলগ্ন বাসা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
সাতক্ষীরা থানার এসআই হাফিজুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পরানদহা এলাকার ট্রলি চালক আলম হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার(২৮ আগস্ট) বিকালে বেস্ট টিম সাতক্ষীরার এডমিন মোস্তাফিজুর রহমান, আহবায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি ও কুলিয়ার সাবেক ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেনকে সাথে নিয়ে সাতক্ষীরা সদরের পরানদহা এলাকার ট্রলি চালক আলম হোসেনের ঘরের তালা ভেঙে বাড়ি হতে মুল্যবান কাগজপত্র, দলিল ও টাকা লুটপাট করে আলমের সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া এলাকার নুর আলীর মেয়ে মাছুরা খাতুন।
এদিকে ওই ঘটনার পর সোমবার সকালে হামলাকারী ও মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে পরানদহা বাজারে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী এবং তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে সাতক্ষীরার আপামোর জনসাধারণ। এরপর গতকাল সোমবার (৩১ আগস্ট) ভূক্তভূগী আলম হোসেন বাদী হয়ে স্ত্রী মাসুরা খাতুন, বেস্টটিম, সাতক্ষীরার আহবায়ক শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি ও তার স্বামী মুস্তাফিজুর রহমানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখছাড়াও অজ্ঞাত৪/৫ জনের নামে সাতক্ষীরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
ওই অভিযোগটি সাতক্ষীরা থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়।সাধারণ জনগণ এদের গ্রেফতার করা কে নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং সক্রিয় পরিশোষণ বুঝিয়ে দিয়েছে যে আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।