বিয়ের আশ্বাস দিয়ে নবম শ্রেণির (১৫) এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শারীরিক সম্পর্কের পর বিয়েতে অস্বীকৃতি জানিয়ে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে গেলে ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়। কিন্তু দেখা মেলেনি কথিত প্রেমিকের।
ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায়। নিরুপায় হয়ে বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ওই যুবক এবং তার সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে নির্যাতনের শিকার কিশোরী। বৃহস্পতিবার মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়ার খড়িয়াটারী গ্রামের আফছার আলীর ছেলে লিটন মিয়ার সঙ্গে কয়েক মাস আগে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত লিটন মিয়া ওই শিক্ষার্থীকে ফোন করে পালিয়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি সম্মতি দিলে লিটন তার বন্ধু ফরিদ মিয়ার (২২) সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীকে চলে আসার জন্য বলে। কথামতো মেয়েটি ফরিদের সঙ্গে কথিত প্রেমিকের কাছে চলে যায়।
এরপর অভিযুক্ত তরুণ তাকে কৌশলে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে পালিয়ে যায় লিটন।
ভুক্তভোগী তরুণীর বড়ভাই বলেন, “বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লম্পট লিটন আমার বোনের সর্বনাশ করেছে। আমরা তার উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনের বিরুদ্ধে নারী-শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।