মিতা খাতুন,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা (২০১৭ ও ২০২০) সালের এম,সি,কিউ পাশকৃতরা শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে অনশনে বসছেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন স্যারের বাসার সামনে।
শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের থেকে জানা যায়, প্রিলিমিনারী পাশকৃত (২০১৭ ও ২০২০) সালের রিটেন পরীক্ষার তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষনা করেছে। তারিখ ঘোষনা করলেও পরীক্ষার্থীরা এ তারিখ মানতে নারাজ। কারন অনেক শিক্ষার্থী এখন করোনায় আক্রান্ত।
তাই এসময় পরীক্ষা নেওয়া একটা জীবন সংশয় অবস্থা আর রিটেন পরীক্ষার পদ্ধতিতে নেই আধুনিকতা এজন্যই তাদের দাবী রিটেন পরীক্ষার খাতায় ও এমআর পদ্ধতি সংযুক্ত না থাকায় আবুল পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে মকবুল। তাছাড়া কোন রকম রিটেন পরীক্ষা একবার নিতে পারলে আর এটার রেজাল্ট যে কবে দিবে তার কোন ইয়ত্তা থাকে না। এমনকি পরীক্ষার খাতা পূনঃ নিরিক্ষনেরও কোন ব্যবস্থা নাই।
সব অনিয়ম আর অনিশ্চয়তার জন্য লাইসেন্স পেতে তাঁদের ৩/৫ এমনকি ১০ বছরও লেগে যাচ্ছে। তাই শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের ন্যায্য দাবী যেহেতু সঠিক সময়ে বার কাউন্সিল পরীক্ষা প্রসেস শেষ করতে পারছে না তাতে করোনা মহামারীর প্রভাবও চলমান। তাই প্রিলি পাশকৃতদের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভূক্তির দাবীতে বার কাউন্সিলেন ভাইস চেয়ারম্যানের বাস ভবনের সামনে অবস্থান।
শিক্ষাবীশ আইনজীবীরা আরও জানান, সিদ্ধান্ত না নিয়ে বাড়ি ফিরবে না তারা । প্রয়োজনে আত্মহুতির ঘোষণা দিয়েছেন। অতি দুঃখ প্রকাশ করে আরও বলেন, আমরা কি দেশের নাগরিক নয়। আমাদের কি বা অপরাধ। আইনের ছাত্র হয়ে আজ বছরে পর বছর কেনই ঝুলে থাকতে হবে। আমাদের কি মানুষও মনে হয় না। তা না হলে করোনার মধ্যে কেনই বা পরিক্ষার ঘোষণা দিতে হবে। এছাড়া বিকল্প কিছু করণীয় ছিল না। আমাদের ১৩ হাজার শিক্ষানবীশদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বার কাউন্সিল এমনটাই দাবি করেন তারা। পরীক্ষা তো দিয়েছি এখন প্রয়োজনে ভাইবা নিয়ে মেধা যাচাই করুন। তাছাড়া আমরা তো ইতিমধ্যে আপনাদের এমসিকিউ পরিক্ষায় উত্তিণ হয়েছি। তাহলে আমাদের নিয়ে কেনই বা এমন করছেন।
উল্লেখ্য,এই শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা সারা দেশে গেজেটের মাধ্যমে সনদের দাবী সহ অন্যান্য দাবীতে একযোগে গত ৯জুনে দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে ছিলেন। এছাড়া একই দাবীতে গত ৩০ জুন ঢাকা প্রেসক্লাবে প্রেস কনফারেন্স করেন এবং ১৯ জুলাই বার কাউন্সিলের সামনে মহাসমাবেশ করে। ৯ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বার কাউন্সিলের সামনে ছাত্র-অবিভাবক সমাবেশ হয়। এছাড়াও ৩ সেপ্টেম্বরেও বার কাউন্সিলের সামনে অনশন কর্মসূচীও পালন করে। বর্তমানেও প্রতিদিন আন্দোলন চলছে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে।