দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের দাবি করা মূল আসামি রবিউলকে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতে তোলা হবে।
আদালতে রবিউল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করতে পারেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এ হত্যাচেষ্টার মামলায় আটক কর্মচারী মালি রবিউল ইসলাম ও নাইটগার্ড নাদিম হোসেন পলাশকে আদালতে তোলা হয়। তদন্তকারী কর্মকতা রবিউলের ১০ দিন রিমান্ড চাইলে ৬ দিন মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন।
এদিকে, নাইটগার্ড নাদিম হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে রিমান্ডের জন্য কোনো আবেদন না করায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা-ডিবির ওসি (তদন্ত) ইমাম জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে, এ মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা (বহিষ্কৃত) আসাদুল ইসলামকে ৭ দিনের রিমান্ড শেষে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক। তদন্তকারী কর্মকতা নতুন করে রিমান্ড আবেদন না করায় বিচারক এ আদেশ দেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে সে ৭ দিনের রিমান্ডে ছিল।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে রংপুর বিভাগের পুলিশ কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, নির্বাহী কর্মকতা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে হামলার ঘটনার মূল হামলাকারী বাড়ির মালি রবিউল ইসলাম। জেলা পুলিশ সুপার কার্যলায়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। বলেন, রবিউল হামলার দায় স্বীকার করেছেন। তবে আরো তদন্তের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। ইউএনও ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই হামলার ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে দিনাজপুর জেলা ডিবি তদন্ত করছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও র্যাব তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।