নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
বরিশালের হিজলা উপজেলার বাউশিয়া গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। মামলার রায়ে গৃহবধূর শ্বশুর ও দেবরের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার(২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এই দণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণার পরে ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামীকে পুলিশ পাহাবায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফয়জুল হক ফয়েজ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি মনির যৌতুকের দাবিতে নিজ বাড়িতে স্ত্রী মাকসুদা বেগমকে হত্যা করেন। এরপর মাকসুদা বেগমের ভাই অলিউদ্দিন বাদী হয়ে ৭ জানুয়ারি হিজলা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিতে না পারায় কিল ঘুষি মেরে মাকসুদা বেগমকে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। মামলায় মনির হোসেন ছাড়াও শ্বশুর শফী রাঢ়ী, শাশুড়ি রাশিদা বেগম ও দেবর নাসির রাঢ়ীকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে রাশিদা বেগম মারা গেছেন।
এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৯ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালতের কাছে স্বামী মনির হোসেন দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্বশুর ও দেবরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।