বগুড়ার শিবগঞ্জে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। পরে অভিযুক্ত শ্বশুর মিলন মিয়াকে আটক করে পুলিশ। তিনি উপজেলার বিহার ইউপির বিহার উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মিলন মিয়ার ছেলে ট্রাকচালক। দীর্ঘদিন ধরে তার বউয়ের প্রতি কু-নজর দিয়ে আসছিলেন। ছেলে বাড়িতে না থাকার সুযোগে মাঝে মধ্যেই গভীর রাতে বউয়ের কক্ষে ঢুকে শরীরের ম্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন শ্বশুর। এতে টের পেয়ে পুত্রবধূ জেগে উঠলে শ্বশুর পালিয়ে যেতেন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, কৌশল পরিবর্তন করে পুত্রবধূকে গাভীর দুধের সঙ্গে নেশা জাতীয় ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দিতেন শ্বশুর। দুধ পান করে ঘুমিয়ে পড়তেন পুত্রবধূ। পরে তার কক্ষে ঢুকে ধর্ষণ করতেন শ্বশুর। পুত্রবধূ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে না পেরে বেলা ১২টায় ঘুম থেকে উঠতেন। তখন নিজের কাপড়-চোপড় এলোমেলো দেখে ধর্ষণের টের পান।
এতে পুত্রবধূর সন্দেহ হলে নিজেই কৌশলে মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ২৬ জুলাই গৃহবধূ শয়ন কক্ষে ঘুমানোর ভান করে থাকেন। গভীর রাতে পুত্রবধূর শয়ন কক্ষে ঢুকে পরনের কাপড় খুলে ফেলেন শ্বশুর। পরে তাকে ধর্ষণ করতে থাকলে পুত্রবধূ নিজেই আপত্তিকর অবস্থায় ভিডিও ধারণ করেন। এ নিয়ে অসহায় বাবাকে সঙ্গে নিয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার দেন গৃহবধূ। এতে ব্যর্থ হলে সোমবার শ্বশুরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলার পরপরই শ্বশুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলা পেয়ে অভিযুক্ত শ্বশুরের গ্রেফতার করা হয়েছে।