মাদারীপুরে শ্যাম চন্দ্র দাস (৪০) নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতি পক্ষের লোকজন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের পর্বতবাগান এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে মোস্তফাপুর ইউনিয়নের পর্বতবাগান এলাকায় পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে দিলীপ বালার সাথে একই এলাকার শ্যাম দাসের কথা কাটাকাটি হয়।
এই ঘটনার জের ধরে দিলীপ বালা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে শ্যাম চন্দ্র দাস, তার ভাই তারোক দাস (৪৫ ) ও চাচাতো ভাই পরিমল দাসকে (২৬) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শ্যাম দাশসহ তাদের ভাইদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ফরিদপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে শ্যাম দাস মারা যায়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দিলীপ বালার গ্রুপের ২ জন আহত হয়। এরা হলেন, অশোক বালা (৭০), সন্ধ্যা বালা (৩০)। অশোক ও সন্ধ্যা বালা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। নিহত শ্যাম দাস মস্তফাপুর বাজারে স্বর্ণের ব্যবসা করতেন।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার মো. এমরানুর রহমান সনেট বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত শ্যাম দাসসহ তিনজনকে স্থানীয় লোকজন সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা প্রথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের তিনজনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। ফরিদপুর নেয়ার পথে শ্যাম দাস মারা গেলে তাকে পুনরায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা চেকআপ করে দেখি সে মারা গেছে। আহত অন্যরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
দিলীপের বড় ভাইয়ে স্ত্রী সন্ধ্যা বালা বলেন, সকালে শ্যাম ও দিলীপ মাছ ধরার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি করতেছিল। আমি দু’জনকেই বার বার থামানো চেষ্টা করি। এ সময় শ্যাম আমাকে ধাক্কা দিলে আমি মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এরপরে কি হয়েছে আমি জানিনা।
শ্যাম দাসের চাচাতো ভাই লক্ষ্মণ দাস বলেন, শ্যাম ও দিলীপের মধ্যে বাক বিতণ্ডার পরেই দিলীপ লোকজন একত্রিত করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে শ্যাম ও তার ভাইদের ওপর হামলা চালায়। শ্যাম দৌড়ে পালাতে গিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে গেলে দিলীপ ও তার লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মভাবে কুপিয়ে জখম করে। এতে শাম মারা যায়।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বিকেল পর্যন্ত মামলা করতে কেউ আসেনি। মামলাসহ আইনগত সহযোগিতা চাইলে আমরা তা করতে প্রস্তুত।