বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহকারী ও সহকারী প্রভোস্ট ড. আব্দুল্লাহ আদনানসহ দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে তারা এ সাক্ষ্য দেন।
মামলার অপর সাক্ষী হলেন, সিআইডির আলোকচিত্র বিশারদ পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতারুজ্জামান। এ নিয়ে এ মামলায় মোট ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল।
এর আগে কারাগারে আটক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষীর জবানবন্দি শেষ হলে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। জেরা শেষ হলে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত ৫ অক্টোবর এ মামলার বাদী ও আবরারের বাবা বরকতুল্লাহর আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে ২৫ আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ হত্যা মামলা করেন।
অভিযোগপত্রে থেকে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে ৮ জন আদালতে দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ১৩ জন ১৬১ ধারায় পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া সাক্ষীদের মধ্য থেকে দুজন ১৬৪ ধারায় এবং ৩০ জন ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সাক্ষীদের মধ্যে বুয়েটের শিক্ষক, শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট, চিকিৎসক এবং নিরাপত্তাকর্মীও আছেন।
এদিকে আবরারের রক্তমাখা জামাকাপড়, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন, ফরেনসিক প্রতিবেদন, ১৬৪ ও ১৬১ ধারায় দেয়া আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, সিক্রেট মেসেঞ্জার গ্রুপের কথোপকথন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, আসামিদের কল রেকর্ড ও মশারি টানানোর রড-স্টাম্প আলামত হিসেবে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।