আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে চলতি বছর ১১ মার্চ রাতে বগুড়া শহরের সাতমাথায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত হন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম। গুরুতর আহত তাকবীরকে স্থানীয় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর ১৫ মার্চ দুপুরে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহত তাকবীর ইসলামের মা আফরোজা ইসলাম বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফকে প্রধান আসামী এবং তার সহযোগী আরও ৬জনের নাম উল্লেখ করে মোট ২০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের একদিন পর ১৭ মার্চ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে অভিযুক্ত আব্দুর রউফককে সংগঠন থেকে বহিস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তাকবীর নিহত হওয়ার ১০দিনের মাথায় ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফ গত ২৫ মার্চ উচ্চ আদালতে গিয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানী শেষে আদালত তাকে ৬ সপ্তাহের জামিন দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল মালেক জানান রউফ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।
তিনি বলেন, তার জামিনের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালতের সিদ্ধান্তে সেই সময়-সীমা পর্যায়ক্রমে বর্ধিত হয়।
বগুড়ার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন জানান, তাকবীর ইসলাম হত্যা মামলার আসামী আব্দুর রউফ সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। দুপুর ৩টার দিকে দুপুরে শুনানী শেষে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিসেস হাবিবা মণ্ডল জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তাকবীর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল মালেক জানান, প্রধান আসামী আব্দুর রউফসহ মোট ৬ আসামী বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
পুন্ড্রকথা সংবাদ