আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী।
বগুড়া জেলা জজশীপ, জুডিশিয়ারী ও এডভোকেট বার সমিতি সমন্বয়ে, কোর্ট চত্তরে সকাল ১০ টায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন উক্ত সময়ে উপস্থিত ছিলেন জজশীপের বিচারকগন জুডিশিয়ারীরর ম্যাজিস্ট্রেটগন এবং বগুড়া বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আইনজীবীবৃন্দ
পরবর্তিতে আজ সকাল ১১ ঘটিকায় ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বগুড়া জেলা জজশীপ এবং এডভোকেট বার সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ভার্চুয়াল শোক সভা সিনিয়ার জেলা ও দায়রা জজ জনাব নরেশ চন্দ্র সরকারের সভাপতিতে অনুষ্ঠিত হয় উক্ত সভায় বক্তব্যদেন বিচারকবৃন্দ চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ এবং আইনজীবীবৃন্দের মধ্যে থেকে
এডভোকেট আব্দল মতিন পিপি, এডভোকেট কামরুন নাহার ডেইজী জিপি, এডভোকেট গোলাম ফারুক সাবেক সভাপতি বগুড়া বার, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম লাল বীর মুক্তি যুদ্ধা, এডভোকেট রোমান স্পেশাল পিপি, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ পিপি দুদক, আমান উল্লাহ স্পেশাল পিপি, এডভোকেট মিঠু অতিরিক্ত পিপি, এডভোকেট নরেশ মুখার্জী স্পেশাল পিপি, এডভোকেট আশেকুর রহমান সুজন স্পেশাল পিপি, এড ভোকেট নুরুস সালাম অতিরিক্ত পিপি, এডভোকেট বিনয় কুমার ঘোষ রজত অতিঃ পিপি, এডভোকেট আশরাফুন নাহার স্বপ্না এপিপি, এডভোকেট খোদা বক্স তালুকদার অতিঃ পিপি এডভোকেট আনোয়ার হোসেন পায়েল অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট বিনয় কুমার দাস এপিপি, এডভোকেট আতিক মাহমুদ এপিপি এডভোকেট দেবাশিষ রায় এপিপি, এডভোকেট রুপালী এপিপি
এডভোকেট আল মাহমুদ সাবেক জিপি, এডভোকেট সদরুল আনাম রন্জু বীর মুক্তিযুদ্ধা
এডভোকেট প্রিন্স মাহমুদ এডভোকেট শাহরিয়ার জামান,
উক্ত আলোচনা সভা দুপর ১ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত চলে, শেষে বিশেষ দোয়ার মধ্যে দিয়ে এবং সভাপতি মহোদয়ের সমাপনি বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন বিচারক পারভিন রুবিনা
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করছে। তবে, এবারও বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কয়েকজন বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।
সেসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
বাদ যহর শাহজানপুর থানার মালিপাড়া তাহ্ফিজুল কোরআন কওমী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করা হয়।
উক্ত এতিম খানা মাদ্রাসায় কাঙ্গালি ভোজের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন শাহজাহানপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জজ কোর্টের নাজীর আহসান হাবীব, মাদ্রাসার হাফেজবৃন্দ ও এতিম শিক্ষার্থীরা।