মাহবুব কবীর এর আগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিছু সময়ের জন্য ছিলেন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও। এ সময় তিনি খাদ্যে ভেজাল ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে আলোচিত হন।
দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও পর্যবেক্ষণের জন্য আগামী এক মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সুপারিশ পাঠাবে এসংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন কমিটির প্রধান ওই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
সাম্প্রতিক সময়ে ইভ্যালিসহ এ খাতের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যমান আইনে এই খাত সুরক্ষা দেওয়া যাবে কি না কিংবা নতুন আইন করতে হবে কি না, এমনকি নতুন কর্তৃপক্ষ করা নিয়ে আলোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে ১৫ সদস্যের এই কমিটি গঠিত হয়।
ইভ্যালি পরিচালনায় বোর্ড : বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ইভ্যালি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে আদেশ দেন। আদালত বলেছেন, বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক থাকবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নাম পাঠানো তিনজনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান (স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগ) থাকবেন। বোর্ডে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে ফখরুদ্দিন আহমেদ ও আইনজীবী হিসেবে খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ থাকবেন। আর সরকারি বেতনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে থাকবেন অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মাহবুব কবীর।
মাহবুব কবীরকে বোর্ডে রাখা প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। কাজের প্রতি তাঁর আগ্রহ দেখে আদালতের ভালো লেগেছে।
মাহবুব কবীর সর্বশেষ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। গত বছরের ৬ আগস্ট তাঁকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা রিট আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ২২ সেপ্টেম্বর কম্পানি আদালতে আবেদন করেছিলাম। সেখানে একটি আবেদন ছিল ইভ্যালি অবসায়নে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়ার। আজ (সোমবার) ওই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আদালত একটি পরিচালনা বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন। এ বোর্ড এখন ইভ্যালি পরিচালনা করবে।’