নীলফামারী কোর্ট প্রতিনিধিঃ
আইনাঙ্গনে অতি পরিচিত একটি বিষয়ের নাম ‘নোটারি পাবলিক’। কোনো গুরুত্বপূর্ণ দলিল-দস্তাবেদ সত্যায়িত, এফিডেফিট সহ নানা কাজে নোটারি পাবলিকের সম্মুখীন হতে হয়ে। দেশে সাধারণত নোটারি পাবলিকের কাজ অনুমোদিত আইনজীবীরাই করে থাকেন। নীলফামারীতে জেলা জজ কোর্টের ৪জন নোটারি পাবলিকের মধ্যে একজন হলেন এ্যাড. মোঃ ফজলুল হক। জন্ম তার ২২শে জুন ১৯৪৫। এখনো তিনি আইনপেশা সহ অবৈধভাবে তার নোটারি পাবলিকের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নিয়ম অনুসারে আইনপেশা চালিয়ে যেতে পারলেও নোটারি পাবলিকের কাজ করতে পারেন না তিনি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ২০০৩ সালের ৭জানুয়ারী জারিকৃত গেজেট অনুসারে একজন আইনজীবী সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত নোটারি পাবলিকের কাজ করতে পারবেন।
কিন্তু নীলফামারী জেলা জর্জ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. মোঃ ফজলুল হকের বয়স ৬৫ পার হয়ে বর্তমানে ৭৬ চললেও তিনি তথ্য গোপন করে অবৈধভাবে এখনো নোটারি পাবলিকের কাজ করে যাচ্ছেন। এতে করে তার কাছে নোটারি করতে আসা মানুষেরা হচ্ছে প্রতারণার শিকার। সরেজমিনে ফজলুল হকের সাথে কথা বলে নোটারি পাবলিকের রিনিউ করা কাগজপত্রাদী দেখতে চাইলেও তিনি কোনো কাগজপত্রাদী দেখাতে পারে না।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের জারিকৃত গেজেটের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,‘কত আইন পরিবর্তন হচ্ছে। আমার নোটারি পাবলিকের কাজ করার অনুমোদন আছে কি না আইন মন্ত্রনালয়ে গিয়ে খবর নেন।’
নোটারি পাবলিকের কাজ ও বয়সকাল সম্পর্কে জেলা জর্জ কোর্টের আইনজীবীর ও নোটারি পাবলিক জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে হলে সাধারণত আমাদের মাধ্যমে সত্যায়িত করে জমা দিতে হয়। বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই সত্যায়িত করা বাধ্যতামূলক। জমিজমা সংক্রান্ত দলিল-দস্তাবেজ, হলফনামা, বিবাহবিচ্ছেদ, গাড়ি বেচাকেনা, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, চারিত্রিক সনদপত্র, জন্ম-মৃত্যুর সনদপত্র এবং বিদেশে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে নোটারি পাবলিক দিয়ে সত্যায়িত করা বাধ্যতামূলক। প্রতি তিন বছর পর পর একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে নোটারি পাবলিকের হালনাগাদ করতে হয়। সাধারনত একজন আইনজীবী সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত নোটারি পাবলিকের কাজ করতে পারবেন।
৬৫ বছরের উর্দ্ধে কোনো আইনজীবীর যদি নিজেকে নোটারি পাবলিক দাবি করে উপরুক্ত কাজগুলো সত্যায়িত করে তাহলে সেটি সম্পূর্ন অবৈধ বলে গণ্য হবে।
এবিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আলফারুক আব্দুল লতিফ বলেন, আমি জেলা আইনজীবী সমিতির সাথে কথা বলার আগে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।
টাইমবার্তা সংবাদ