হাত-পা অবশ অথ্যাৎ প্যারালাইজড হলে মানুষ আর চলাচল করতে সক্ষম হন না। কিন্তু মস্তিষ্ক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এমন একটি রোবটিক স্যুট পরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত (প্যারালাইজড) এক ব্যক্তি তার অবশ হাত-পা নাড়াতে সক্ষম হয়েছেন। ফরাসি গবেষকরা শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছেন।
পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক ফরাসি নাগরিকের ওপর পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে যার বয়স থিবল্ট নামে ৩০ বছর। তিনি মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত একটি এক্সোস্কেলেটন স্যুট পরে কয়েক ধাপ হাঁটতে পেরেছেন। থিবল্ট এ হাঁটার অভিজ্ঞতাকে চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষের পা রাখার অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করেছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
থিবল্ট যেভাবে হেঁটেছেন তা শতভাগ ঠিকঠাক ছিলনা। তবে গবেষকরা আশা প্রকাশ করছেন, এ পরীক্ষা ভবিষ্যতে পক্ষাঘাতে আক্রান্তদের জন্য ইতিবাচক খবর নিয়ে আসবে।
থিবল্টের মাথায় অস্ত্রোপচার করে তার মস্তিষ্কের ওপর দুটি ইমপ্ল্যান্ট বসানো হয়। মস্তিষ্কের যে অংশটি মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে যুক্ত করা হয়েছিল ইমপ্ল্যান্ট।
প্রতিটিতে ৬৪টি ইলেকট্রোডযুক্ত ইমপ্ল্যান্ট মস্তিষ্কের সঙ্কেত পাঠিয়ে দেয় নিকটবর্তী এক কম্পিউটারে। অত্যাধুনিক এক কম্পিউটার সফ্টওয়্যার দিয়ে এ সঙ্কেত পড়া হয়। এরপর সেই সঙ্কেত অনুযায়ী এক্সোস্কেলেটন স্যুটের কাছে নির্দেশ যায় কী করতে হবে।
থিবল্টের শরীর বাঁধা ছিল ৬৫ কেজি ওজনের এ স্যুটে। থিবল্ট যখনই ভাবছেন তিনি হাঁটবেন, মস্তিষ্ক থেকে সঙ্কেত যাচ্ছে কম্পিউটারে, কম্পিউটার থেকে আসা নির্দেশে এরপর এক্সোস্কেলেটন স্যুট তাকে হাঁটাচ্ছে।
এক দুর্ঘটনায় স্পাইনাল কর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় থিবল্টের শরীর অবশ হয়ে যায়। এজন্য দুই বছর তাকে হাসপাতালে কাটাতে হয়। যদিও আগের গবেষণার চেয়ে এবারের সাফল্যকে অনেক বড় অগ্রগতি বলেছেন গবেষকরা। তবে অত্যাধুনিক রোবটিক স্যুটটি পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির সব ধরনের চলাফেরায় যে সাহায্য করতে পারেনা।
গতকাল শুক্রবার ইরানি রাষ্ট্রদূত বায়িদিনেজাদ তার অফিসিয়াল টুইটার পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে জানিয়েছেন, ব্রিটিশ সরকার দেশটির একটি আদালতের চার মাস আগের রায় অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের সব অর্থ পরিশোধ করেছে।