ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে কংগ্রেস। দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এ নির্দেশনা দিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান জানান, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনা করেন। তিনি বামফ্রন্টের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে জোট গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে প্রস্তাবিত বাম-কংগ্রেস জোট সম্পর্কে জনমত তৈরি হয়। তিনি বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, ওই বৈঠকে সোনিয় গান্ধি বলেছেন, ২০১৬ সালে বিধানসভার পরেও বাম ও কংগ্রেস জোট থাকলে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অন্যরকম হত। বিজেপি কোনোভাবেই রাজ্যে জমি পেত না।
লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর আগস্টে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের সঙ্গে বৈঠকে সনিয়া গান্ধী রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা উপ নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে সায় দেন।
আসন্ন উপ-নির্বাচনের তিনটি আসন নিয়ে রাজ্য কংগ্রেস ও সিপিআই(এম)-এর মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ও পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে। আবার নদিয়ার করিমপুরে সিপিআই(এম)-এর নেতৃত্বে বামফ্রন্ট নির্বাচনে লড়বে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগেও তাদের মধ্যে জোট গড়া নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু আসন সমঝোতা নিয়ে মতানৈক্যের কারণে জোট গড়া সম্ভব হয়নি। লোকসভায় দুই দলই চূড়ান্ত ব্যর্থ। কংগ্রেস মাত্র দুটি আসনে জয়লাভ করে। ৩৮ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
অন্যদিকে, বামফ্রন্ট কোনো আসনেই জয়লাভ করতে পারেনি। তাদের ৩৯ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
বিজেপি ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয়লাভ করে। তৃণমূলের থেকে মাত্র চারটি আসন কম পেয়েছে তারা। লোকসভার ফলাফল থেকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা গেরুয়া শিবির আপাতত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে এগোতে চাইছে।