ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের মালয়েশিয়ায় ফ্ল্যাট থাকার তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দুমন কমিশন (দুদক)। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকেও সম্রাটের অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে বলে জানিয়েছে দুদক।
দুদক বলছে, দেশটির সেকেন্ড হোম প্রকল্পের আওতায় মালয়েশিয়ার আমপাং তেয়ারাকুন্ড এলাকায় এই ফ্ল্যাট কেনা হয়। সম্রাট ছাড়াও মমিনুল হক সাঈদ, খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, সফিকুল আলম ফিরোজ, কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুর রহমান বকুল, এনামুল হক এনু ও রুপম ভূঁইয়াসহ আরও ৪২ জনের দেশে-বিদেশে, নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্যও পেয়েছে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ ও র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিটের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছে দুদক। এছাড়া দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটও এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব দিলোয়ার বখত সাংবাদিকদের জানান, অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ৪৩ জনকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের অর্জিত সম্পদের বিবরণী নেওয়া হচ্ছে। তারা সঠিকভাবে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে না পারেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হতে পারে।