স্বেচ্ছায় কারাবরণের ডাক দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়া আজ কারাগারে। আমাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন নিশ্চিত করতে হবে। এ অবৈধ সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে উদ্দেশ করে আমান বলেন, আপনি স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য, আপনি এজেন্ডা নেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য, মুক্তির নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সবাই একসাথে কারাবরণ করবো।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আবরার হত্যার প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রদলের সাবেক নেতারা এ সভার আয়োজন করেন।
আমান বলেন, কথায় আছে জয় কালে ক্ষয় নাই, মরণ কালে ওষুধ নাই। বর্তমান সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে। তার প্রমাণ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। যদিও এখন তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন। কোনো লাভ নেই। দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে, তারা এই সরকারের পতন চায়।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ভোলায় অসহায় নিরীহ তৌহিদী জনতাকে পুলিশ গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। এভাবে আর মানুষ খুন হতে দেয়া যায় না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য যে আন্দোলন করা প্রয়োজন সেই আন্দোলন করতে পারিনি। কিন্তু আমরা বড় বড় কথা বলি।
মঞ্চে উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, এ সরকার খালেদা জিয়াকে স্বাভাবিকভাবে মুক্তি দেবে না। খালেদা জিয়াকে যদি জীবিত অবস্থায় মুক্ত করতে হয় তাহলে গণঅভ্যুত্থান ছাড়া কোনো পথ নেই।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমউদ্দিন আলম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক নেতা আকরামুল ইসলাম মিন্টু, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, আরিফা রুমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।