বরিশালে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার বিকেলে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। দণ্ডিত কাওসার হোসেন জেলার বানারীপাড়ার নাজিরপুর গ্রামের শহিদ হোসেনের ছেলে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের স্পেশাল পিপি ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, ঘটনার দুই বছর আগে আসামির সঙ্গে মাহমুদা আক্তার পাখির বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই স্ত্রী পাখিকে মারধর করতো কাওসার। এরপর দেনা করে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। কিন্তু নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এর মধ্যে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে পাখি। কিন্তু চাহিদামাফিক যৌতুক না পাওয়ায় ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রয়ারি সকালে পাখিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে কাওসার। এ ঘটনায় ওইদিন পাখির বড় বোন ময়না বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ৩০ এপ্রিল থানার এসআই রুস্তম আলী মৃধা অভিযুক্ত স্বামীকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পাশাপাশি দণ্ডিত কাওসার পলাতক থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।