যশোরের মণিরামপুরে সুকান্ত বিশ্বাস (২৬) নামে এক কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে পৌরশহরের ভগবান পাড়ার খুশিয়ার ডাক্তারের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
সুকান্ত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোন এক সময় ঘরের আড়ার সাথে গামছা জড়িয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে ধারণা স্বজনদের।
সুকান্ত উপজেলার পাঁচকাটিয়া গ্রামের শিশির বিশ্বসের ছেলে। সে যশোর বিসিএমসি কলেজের প্যাথলজি বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি পাঁচকাটিয়া বাজারে বাবার ওষুধের দোকানে বসত সুকান্ত।
এই ঘটনায় সুকান্তর বাবা শিশির বিশ্বাস বাদি হয়ে রোববার রাতে মণিরামপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।
হরিদাসকাটি ইউপির পাঁচকাটিয়া ওয়ার্ডের মেম্বর স্বপন বিশ্বাসসহ স্বজনরা জানান, সুকান্তদের মণিরামপুর পৌরশহরের ভগবান পাড়ায় পাকা বাড়ি রয়েছে। ৬-৭ মাস আসে তার মা লক্ষ্মী বিশ্বস অসুস্থ হয়ে মারা যান। তারপর থেকে শহরের বাড়িতে তালা মেরে বাবার সাথে পাঁচকাটিয়া গ্রামে চলে যায় সে। গ্রামে থাকলেও মাঝেমধ্যে শহরের বাড়িতে এসে একা থাকত সুকান্ত। গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সে মণিরামপুরের বাড়িতে চলে আসে। এরপর আর গ্রামে ফেরেনি। শনিবার থেকে তার মোবাইলও বন্ধ ছিল।
স্বপন বিশ্বাস বলেন, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বন্ধুরা সুকান্তকে ডাকতে আসে। কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের জানালা খুলে তারা সুকান্তকে ঝুলতে দেখে চিৎকার দেয়। এরপর আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বন্ধুরা তার লাশ নামিয়ে আনে।
মণিরামপুর থানার এসআই জহির রায়হান বলেন, এই ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা অপমৃত্যু মামলা করেছেন। রাতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে লাশ মর্গে পাঠানো হবে।