বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শনিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত নব্য জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য আবু নাঈম মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট।
আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে জসীম উদ্দিন সেরনিয়াবাতের মালিকানাধীন ‘মেসার্স মা মেডিকেল হল’ নামে ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
১০দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে রোববার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটক আবু নাঈম গৈলা ইউপির পশ্চিম সুজনকাঠী গ্রামের নজরুল ইসলাম মোল্লা ও তানিয়া আক্তারের ছেলে এবং সরকারি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
নাঈমের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ইসলামের নামে রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন জেহাদি বই, জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে বিভিন্ন প্রচারপত্র, মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড।
অর্গানাইসড ক্রাইম, ফরেনসিক ও টেরর ফিনান্স উইং, অ্যান্টি টেরোরিজম (এটিইউ) ইউনিটের অ্যাডিশনাল এসপি মো. রকিব উজ্জামানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি দল ঢাকা থেকে আসে। শনিবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে জসীম উদ্দিন সেরনিয়াবাতের মালিকানাধীন ‘মেসার্স মা মেডিকেল হল’ নামে ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে আবু নাঈমকে আটক করে।
নাঈম এ ওষুধের দোকানে কর্মচারীর হিসেবে তিন মাস ধরে কাজ করে আসছিল। তার বাবা নজরুল ইসলাম নগরবাড়ি রোডে একটি চায়ের দোকান পরিচালনা করছে। নাঈমের পরিবার আগে উজিরপুর উপজেলার নয়াকান্দি এলাকায় বসবাস করত।
এ ঘটনায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) এসআই অজিত কুমার দাশ বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ ধারায় শনিবার রাতে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) এর ইন্সপেক্টর মো. খায়রুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেলে নিষিদ্ধ ঘোষিত নব্য জেএমবি সদস্যরা মা মেডিকেল হলে একত্র হয়ে মিটিং করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে খবরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মা মেডিকেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নব্য জেএমবির অন্যতম সক্রিয় সদস্য নাঈমকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে একটি আধুনিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক তাকে নিয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তার বাড়ি থেকে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
নাঈম মা মেডিকেল হলে চাকরির আগে উপজেলা সদরের নূপুর ফার্মেসিতেও দীর্ঘদিন কর্মরত ছিল। ঢাকাতেও কর্মরত ও যাতায়াত করত সে।