সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে গুনগত মানসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত করে এবং বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সমমানের উচ্চশিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি ও দক্ষতায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উচ্চ শিক্ষায় গবেষণায় এসব অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে গতিশীল ও স্থায়ী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উপযুক্ত, সুশিক্ষিত ও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় ৫ম শ্রেণীতে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত এবং ৮ম শ্রেণীতে বৃত্তিপ্রাপ্তদের ১০ শ্রেণী পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনাবেতনে অধ্যয়ন এবং প্রতিবছর সম্পূর্ণ বিনাবেতনে অধ্যয়ন এবং প্রতিবছর সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বৃত্তিপ্রাপ্তদের পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করার নির্দেশনা রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন বাবদ এক হাজার ৫০ টাকা হারে, যা চলতি বছরে এক হাজার ৩৫০ টাকা হারে আদায় করেছে, তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফেরত দেয়ার জন্য ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে স্মারক পত্র মূলে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী দীর্ঘদিন একই জায়গায় কর্মরত সরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক/শিক্ষিকাদের অন্যত্র বদলী বা পদায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণকে অন্যত্র বদলী বা পদায়নের কোন নীতিমালা নেই।