সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে কারো কোনো ফৌজদারি অপরাধে একবছর বা তার বেশি সাজা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে চাকরিচ্যুত করার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪২ ধারা কেন অবৈধ নয় তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার এ রুল জারি করেছেন। রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ, জনপ্রশাসন ও আইন সচিব এবং সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪২ ধারা বাতিল করতে বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠান মনজিল মোরসেদ। নোটিশের জবাব না পেয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদন করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, আদালত অবমাননা একটি ফৌজদারি অপরাধ। প্রচলিত আদালত অবমাননা আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ মাস। আদালত অবমাননার জন্য কারো ৬ মাস সাজা হলে তাকে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায় রয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালে করা আইনে শাস্তির মেয়াদ ছয় মাসের পরিবর্তে একবছর করা হয়েছে। আদালত অবমাননার আইনকে অকার্যকর করতেই একবছর করা হয়েছে। সুতরাং এই আইন বাতিল হওয়া প্রয়োজন।